—ফাইল চিত্র।
পুজোর ঠিক আগে থেকেই নামতে শুরু করেছিল ডেঙ্গির রেখচিত্র। কিন্তু উৎসব মিটকেই আবার তা ঊর্ধ্বমুখী। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এই মুহূর্তে ভর্তি ৩২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে চার শিশুও। আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে দাবি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। জেলার বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমা হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তেরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়ে এসেছেন বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল প্রিন্সিপাল।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের সুতি, লালগোলা এবং ভগবানগোলা ব্লককে ডেঙ্গির ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মশার লার্ভা দমনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা গিয়েছিল জেলার পক্ষ থেকে। উৎসব পরবর্তী সময়ে কী অবস্থায় মুর্শিদাবাদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি? উৎসব চলাকালীন পুজো কমিটিগুলিকে মশা বাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতায় জোর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে খুব একটা কাজ হয়নি, তা সংক্রমণের রেখচিত্রতেই স্পষ্ট বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। ফলে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জেলায়।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল অমিত দান বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যে সব রোগী আসেন, তাঁরা বেশির ভাগই বাইরে থেকে রেফার হওয়া। এখানে সরাসরি ভর্তির হার খুব কম। বেশির ভাগ রোগীই সুস্থ আছেন। এবং খুব তাড়াতাড়ি ছুটিও পেয়ে যাবেন।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ‘‘নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেলেও প্রতি দিন আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে আগের তুলনায় তা নগণ্যই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গি চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও ডেঙ্গি দমনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’’