সদর হাসপাতালে ডাক্তারের করোনা 

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের এক চিকিৎসক। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৩:৫০
Share:

চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে সদর হাসপাতাল। শনিবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য 

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের এক চিকিৎসক। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

Advertisement

সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তাঁর রিপোর্ট আসার আগেই তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে যান প্রসূতি-চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য! সেই সময়ে সেখানে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ছাড়াও ছিলেন জেলার করোনা মোকাবিলার নোডাল অফিসার ডেপুটি সিএমওএইচ ২ এবং ডেপুটি সিএমওএইচ ৩। ওই চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁদের প্রত্যেককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। চরম অস্বস্তিতে পড়়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর পাশাপাশি শনিবার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আরও এক চিকিৎসকের করোনা রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।

কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসকের গত ১ জুলাই জ্বর আসে। তার পরেও ২ জুলাই তিনি নিজের কৃষ্ণনগরের চেম্বারে রোগী দেখেছেন। শুধু তা-ই নয়, পর দিন অর্থাৎ ৩ জুলাই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালেও বহির্বিভাগে রোগী দেখেছেন। এর পর তিনি হোম কোয়রান্টিনে যান। গত ৬ জুলাই তিনি লালারসের নমুনা দেন পরীক্ষার জন্য। ৮ জুলাই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ১০ জুলাই তাঁর জ্বর সেরে যায়। কিন্তু ১৫ জুলাই তিনি ফের পরীক্ষার জন্য লালারলের নমুনা দেন। দ্বিতীয় বারের পরীক্ষায় শুক্রবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, দ্বিতীয় বারের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই কেন তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে গিয়েছিলেন? নিজে চিকিৎসক হয়ে তিনি এই ভুল করলেন কী ভাবে?

Advertisement

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দাবি, “বাড়়িতে কোয়রান্টিনে থাকার ১৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে বলে ওই দিন প্রথম বেরিয়েছিলাম।” এর মধ্যে তিনি আর কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রেও ১০ দিন পরে ভাইরাস পার্টিকল পাওয়া যায়। কিন্তু তা ইনফেকটিভ থাকে না। তবে নন-ইনফেকটিভরাও পজিটিভ হতে পারেন। এ দিন ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক ছিলনা। একটি বিষয়ে জানাতে তিনি এসেছিলেন।”

শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আরও এক চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তার পরেই হাসপাতালের সুপার সহ অন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও পরীক্ষা করানো হয়। শুক্রবার সুপার সহ ১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শুধু ওই এক জন চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন