জোড়া খুনের তিন দিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ।
পুলিশের দাবি, বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জাল অনেকটাই গুটিয়ে এনেছে। খুব শিগ্গির ধরা পড়বে দুষ্কৃতীরা। আর গ্রামবাসীরা বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অবিলম্বে পুলিশ যদি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করে তাহলে তাঁরা থানা ঘেরাও করবেন।
সোমবার সকালে ধানতলার খালপাড় এলাকার বাড়ি থেকে নয়নতারা বারুই (৪৮) ও সুভাষ বিশ্বাসের (৪৩) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’জনেরই মাথায় প্রথমে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। তারপর আগুন দিয়ে দেহ দু’টি পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা তা করতে পারেনি। তবে দু’জনেরই দেহের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছে।
নয়নতারার জমি-জায়গা দেখাশোনা করতেন খালপাড় এলাকারই বাসিন্দা সুভাষ। সেই সূত্রে নয়নদেবীর বাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। রবিবার বিকেলেও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুভাষের দাদা সুনীলবাবু বলছেন, ‘‘দু’টো মানুষ এ ভাবে খুন হয়ে গেল। তিন দিন পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারল না! এ দিনের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে অবিলম্বে দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়লে আমরা থানা ঘেরাও করব।’’ গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, পুলিশের উপর এখনও তাঁদের আস্থা আছে। কিন্তু এমন ঘটনার পরে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেই বিষয়টিও পুলিশের দেখা দরকার।
মৃত্যুসংবাদ শুনে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাড়িতে ছুটে এসেছেন নয়নতারার ছেলে। এ দিন পুলিশ তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছি না। তবে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবিলম্বে তারা ধরা পড়বে।’’