ট্রেন আসছে, যাস না

সাইকেলে ঝোলানো সব্জির ব্যাগ। প্রতিদিনই মিঞাপুর থেকে এই পথেই বাজার করে ফিরি। ট্রেনের হুইসেল বাজছে। রেলগেট প্রহরীহীন। ডান দিক থেকে ট্রেন আসছে বুঝতে পেরেই রেল গেট থেকে কিছুটা দূরে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি। আমার ঠিক পাশে আরও একজন দাঁড়িয়েছিলেন।

Advertisement

সুরেশ মণ্ডল (প্রত্যক্ষদর্শী)

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০২:৩৯
Share:

সাইকেলে ঝোলানো সব্জির ব্যাগ। প্রতিদিনই মিঞাপুর থেকে এই পথেই বাজার করে ফিরি। ট্রেনের হুইসেল বাজছে। রেলগেট প্রহরীহীন। ডান দিক থেকে ট্রেন আসছে বুঝতে পেরেই রেল গেট থেকে কিছুটা দূরে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি। আমার ঠিক পাশে আরও একজন দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ আমার ঠিক সামনেই দ্রুত গতিতে এসে দাঁড়াল সাদা রঙের গাড়িটি। গ্রামের রাস্তা থেকে একটু উঁচুতে রেল গেটটি। গাড়ির চালক রতন মণ্ডলকে ভাল ভাবেই চিনি। আগে সে সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গাড়ি চালাত। দেখি, রতনের দু’কানে হেডফোন লাগানো রয়েছে। গাড়ির মধ্যে জোরে গান বাজছে। রতনের পাশে একজন বসেছিল। পিছনে আর একজন। দু’জনেরই বয়স বছর ১৬ হবে। গাড়ির স্টার্ট বন্ধ না করেই ওরা নিজেদের মধ্যেই কথা বলছিল। ডান দিক কিছু গাছগাছালি থাকায় ট্রেনটিকে দেখা যাচ্ছিল না। ওদের কথা বলার কায়দা দেখে আমার মনে হয়েছিল ওরা অপেক্ষা না করেই রেল লাইন পেরোতে চাইছে। আমি চিৎকার করে বলি, ওরে, রতন, দাঁড়িয়ে থাক। ট্রেন আসছে। যাস না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কানে হেডফোন, গাড়িতে জোরে গানের শব্দে আমার কথা আদৌ সে শুনতে পেয়েছিল কি না কে জানে! তারপরেই হঠাৎ সে গাড়ি চালাতে শুরু করল। বড় জোড় ৩ মিটার গিয়েই লাইনের উপরে গাড়ি উঠতেই ট্রেন ধাক্কা দিল গাড়িটিকে। নিজেকে বাঁচাতে ঝাঁপ দিলাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন