কিছুতেই মোমো নয়, জেলার স্কুলে নির্দেশ

মুর্শিদাবাদের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে বলছেন, ‘‘সে সময়েও এই নির্দেশিকা রাজ্য থেকে এসেছিল। আমরা সে সময় স্কুলগুলিতে পাঠিয়েছিলাম। এ বারে নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াদের সচেতন করতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। আমরাও স্কুলগুলিতে পাঠিয়েছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫২
Share:

খেতে দোষ নেই, খেলায় আপত্তি!

Advertisement

মোবাইলে ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’ খেলা থেকে পড়ুয়াদের সচেতন করতে নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। ৮ জানুয়ারি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উপ-অধিকর্তা জেলায় এ বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। গত অগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের সতর্ক করতে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আবার রাজ্যগুলিকে সেই নির্দেশিকা পাঠায়। রাজ্য থেকে সেই নির্দেশিকার কপি পাঠিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু চার মাস আগে আসা নির্দেশিকা এখন কেন?

Advertisement

মুর্শিদাবাদের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে বলছেন, ‘‘সে সময়েও এই নির্দেশিকা রাজ্য থেকে এসেছিল। আমরা সে সময় স্কুলগুলিতে পাঠিয়েছিলাম। এ বারে নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়াদের সচেতন করতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। আমরাও স্কুলগুলিতে পাঠিয়েছি।’’

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া গেম ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’। মাস কয়েক আগে অনলাইনে এই মারণ গেম ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্ব জুড়ে। তার আঁচ এসে পড়েছিল এ রাজ্যেও। এই গেমের হাতছানিতে মূলত ছাত্রছাত্রী, কিশোর-কিশোরীদের অনেকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করা হচ্ছিল। সেই সময় দেশের অন্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের অনেকেই এই মারণ গেমের
খপ্পরে পড়েছিল।

বহরমপুরের সৈদাবাদ মণীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘মোমো চ্যালেঞ্জ গেম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আমরা প্রার্থনার লাইনে এ বিষয়ে সচেতন শুরু করে। এখনও একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর মোমো-সহ অন্য মারণ গেমের বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement