খুন স্ত্রীর সামনেই, দুষ্কৃতীরা অধরা

সন্ধ্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আততায়ীদের তিনি চিনতে পারেননি। তবে তাঁর স্বামী চিনে পেরে থাকতে পারেন। সন্ধ্যার কথায়, ‘‘উনি ওদের বলেছিলেন, ‘কী করতে এসেছিস তোরা?’ চিনে ফেলাতেই হয়তো ওঁকে খুন করে থাকতে পারে ওরা।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০১:১৪
Share:

নিহত আশুতোষ বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র

স্ত্রীর সামনেই মাথায় গুলি করে এক প্রৌঢ়কে খুন করল দুই দুষ্কৃতী। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পলাশিপাড়ার বার্নিয়া শ্রীকৃষ্ণপুরে। নিহতের নাম আশুতোষ বিশ্বাস (‌৫৭)।‌ বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ আদালতের পেশকার ছিলেন আশুতোষ। আদালতের কাজকর্ম সেরে সে দিন তেহট্টে একটি অফিসে কিছু টাকা জমা দিতে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরেন। বাইরের পোশাক খুলে ঘরে একটি টুলে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই সময়ে আচমকা মুখে কালো কাপড় বাঁধা দুই দুষ্কৃতী ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

Advertisement

আশুতোষের স্ত্রী সন্ধ্যা বিশ্বাসের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। আশুতোষ তা দিতে অস্বীকার করেন। এর পরে তারা বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে চলে যেতে চাইলে আশুতোষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কি চলতে-চলতেই এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র বার করে আশুতোষের মাথার বাঁ দিকে কানের উপরে গুলি করে। গুলি খেয়ে আশুতোষ মেঝেয় লুটিয়ে পড়েন। দুই দুষ্কৃতী বাড়ির পিছন দিকে ফাঁকা মাঠ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার চিৎকারে পড়শিরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত আশুতোষকে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আশুতোষের দুই ছেলে অমিত ও অলকেশ মালদহ আদালতে কাজ করেন। মালদহেই থাকেন। তিন মেয়ে অপর্ণা, অনিতা ও অন্তরার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে আশুতোষ ও তাঁর স্ত্রীই থাকতেন। সন্ধ্যা বলেন, “আমি ওঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময়ে দু’জন এসে আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর পরেই আমার স্বামীর মাথায় গুলি করে ওরা পালিয়ে যায়। আমি পুলিশকে সব জানিয়েছি।”

সন্ধ্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আততায়ীদের তিনি চিনতে পারেননি। তবে তাঁর স্বামী চিনে পেরে থাকতে পারেন। সন্ধ্যার কথায়, ‘‘উনি ওদের বলেছিলেন, ‘কী করতে এসেছিস তোরা?’ চিনে ফেলাতেই হয়তো ওঁকে খুন করে থাকতে পারে ওরা।’’

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই খুনের পিছনে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা থাকতে পারে। পারিবারিক কলহের ঘটনাও থাকতে পারে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন