মুকুল আঁকড়ে ফের দাঁড়াতে চাইছেন অমর

হাসপাতালে পিতা-পুত্রের দাদাগিরিতে মুখ পুড়েছিল দলের। জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে এসে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাই ফতোয়া দিয়েছিলেন এ বার বারাবাড়ি করলে দল থেকেই বহিষ্কার করা হবে তাঁকে। তবে, দলের অনুশাসনে কাজ যে হচ্ছে না ফের তার প্রমাণ রেখেছেন কল্যাণীর ওই কাউন্সিলর, অমর রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৮
Share:

হাসপাতালে পিতা-পুত্রের দাদাগিরিতে মুখ পুড়েছিল দলের।

Advertisement

জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে এসে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাই ফতোয়া দিয়েছিলেন এ বার বারাবাড়ি করলে দল থেকেই বহিষ্কার করা হবে তাঁকে।

তবে, দলের অনুশাসনে কাজ যে হচ্ছে না ফের তার প্রমাণ রেখেছেন কল্যাণীর ওই কাউন্সিলর, অমর রায়। গত কয়েক দিন ধরে ফের তাঁর বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবং তা কল্যাণীর ওই জেএনএম হাসপাতাল চত্বর থেকে। মহকুমাশাসকের কাছে লিখিতভাবে অমরবাবুর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ জানান ওই হাসপাতালের আয়ারা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশও দেন মহকুমাশাসক স্বপন কুন্ডু।

Advertisement

মাস কয়েক আগে, হাসপাতলে আয়া থেকে অ্যাম্বুল্যান্স— সবই চলত তাঁর অঙ্গুলিহেলনে। এমনকী হাসপাতালের ওষুধ কেনা থেকে চিকিৎসকদের বদলিও নিয়ন্ত্রণ করতেন অমর, বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে এসেছিলেন তদানীন্তন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জারি হয়েছিল ফতোয়া। ছবিটা বদলে গিয়েছিল তারপরেই। তা হলে, ফের অমরের উত্থান কেন? খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সরিয়ে সেই জায়গায় কিছু দিন আগে চেয়ারম্যান করা হয় মুকুল রায়কে। এর পরই ফের সক্রিয় হন অমর বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে খবর, অমর বরাবরই মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত। দলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘ওঁর (অমর) ধারণা হয়েছিল, মুকুলদা ফেরায় সুদিন ফিরল, তা যে হবার নয় এ বার তা বুঝবেন অমর।’’ বস্তুত হয়েছেও তাই। মুকুল এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— ‘‘ওই হাসপাতালে সেরা পরিষেবা দেওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। ফলে, দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এবং তার প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অমর অবশ্য বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কারা করছে বলতে পারব না।’’

দলের এক তাবড় নেতা তা শুনে ধরিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘কার করছে তা যদি অমর না জানে তা হলে কে জানবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement