গম চাষ করলে যে এ বার কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না তা পরিষ্কার করে দিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় যারা গম চাষে প্ররোচনা দিচ্ছে তাদেরও চিহ্নিত করে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে বলে কার্যত হুশিয়ারি দিয়ে গেলেন তিনি।
সোমবার ছিল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। সেই উপলক্ষে এ দিন কৃষ্ণনগরের জেলা পরিষদ সভাকক্ষে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে কৃষি কর্তারা চাষিদের মাটি পরীক্ষা করে চাষ করার জন্য উৎসাহিত করেন। সেই সঙ্গে মাটির স্বাস্থ্য কার্ড নিয়েও সচেতন করেন তারা। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গম চাষে ক্ষতিকারক ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। আর সেই কারণেই সরকার এ বার গম চাষ করতে বারণ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি কৃষকদের গম চাষের বিকল্প হিসাবে সরিষা, মুসুর, ছোলা, মটর, পেঁয়াজ চাষ করার পরামর্শ দেন। তিনি এ দিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “গত বছর গম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। চাষিরা জানতেন না। তাই তাদের ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর তারা সবটা জানেন। প্রশাসনের তরফে প্রচারও করা হচ্ছে। তাই কারও প্ররোচনায় যদি তারা গম চাষ করেন তাহলে আমরা ক্ষতি পূরণ দেব না।”
তিনি এই দিন আরও জানান যে, রাজ্যে যে ১৯৪টি কৃষি খামার আছে সেখানে প্রায় চারশোটি পুকুর আছে। সেই পুকুর ফেলে না রেখে মৎস্য দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উন্নত প্রদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হবে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন যে, কৃষিঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ভাল কাজ করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি নানা কারণ দেখিয়ে চাষিকে হয়রান করছে।