কন্যাসন্তানকে পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিল বাবা

মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়, বিকেলে বাড়ি থেকে খানিক দুরে একটি পুকুরে সাত মাসের সাইরুনের দেহ ভেসে ওঠে। পড়শিদের চাপে আলমামুন স্বীকার করে নেয়, খুন সেই করেছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিতলা  শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

নিজের সাত মাসের কন্যাসন্তানকে জলে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ উঠল বাবা আলমামুন শেখের বিরুদ্ধে। মেয়েটির মা নাইমা বিবি অভিযোগ, ‘‘মেয়ে হয়েছে যে এটাই অপরাধ, তাই শাস্তি দিয়েছে ওর বাবা!’’ সোমবার দুপুরে রানিতলার জীবনপুর দাসপাড়ায় ওই ঘটনার পরে আলমামুনকে ধরে ফেলে পড়শিরা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়, বিকেলে বাড়ি থেকে খানিক দুরে একটি পুকুরে সাত মাসের সাইরুনের দেহ ভেসে ওঠে। পড়শিদের চাপে আলমামুন স্বীকার করে নেয়, খুন সেই করেছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, ‘‘মেয়েকে জলে ফেলে দিয়ে পালাচ্ছিল ওই লোকটি। গ্রামবাসীরা তাকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।’’

Advertisement

বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল আলমামুনের। মাস সাতেক আগে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নাইমা। কন্যাসন্তান হয়েছে বলে তাকে দেখতেও যায়নি আলমামুন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে নাইমা ছুটি পাওয়ার পরে বাপের বাড়ি ফিরে যায়। তার পরে নাইমার বাড়ির লোক বোঝানোর পরে শেষ পর্যন্ত মা-মেয়ে মাস খানেক আগে বাড়িতে নিয়ে আসে আলমামুন। নাইমা বলেন, ‘‘তার পর থেকে বেশ কয়েক বার মেয়েকে খুন করার চেষ্টা করেছে স্বামী।’’ সোমবার দুপুরে নাইমার কোলে শুয়ে ছিল সাইরুন। মেয়েকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসার নাম করে নাইমার কোল থেকে সাইরুনকে নিয়ে যায় আলমামুন। তার পর বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে একটি পুকুরে সাইরুনকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের জলে নাইমার দেহ ভেসে ওঠে। খবর ছড়িয়ে পড়ে গাঁ-গঞ্জে। সেই সময় খবর আসে কিছুটা দূরে ছাতাই গ্রামে আলমামুনকে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীরাই তাকে আটকে রাখে। খবর যায় রানিতলা থানায়। রনিতলা থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। গ্রেফতার করা হয় আলমামুনকে।

ভগবানগোলা ২ বিডিও তাপসকুমার হাজরা বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে ব্লক থেকে প্রতিটি অঞ্চলে সচেতনতা শিবির করছি। তার পরেও এটা ঘটল। সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন