অন্তঃসত্ত্বা বৌমার পেটে লাথি মেরে ধৃত

সোমবার রাতে বড় আন্দুলিয়া নতুনগ্রামের বাসিন্দা নিয়ামতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই তরুণীর শাশুড়ি পলাতক। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রপসা বলছেন, ‘‘যারা আমার সন্তানকে এ ভাবে শেষ করে দিল তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০২:০৩
Share:

প্রেম থেকে পরিণয়। কিন্তু বাড়ির তাতে মত ছিল না। আর তারই মাসুল গুনছেন তেহট্টের ভিটারপাড়ার রূপসা বিবি। অভিযোগ, রূপসার শ্বশুর নিয়ামত মল্লিক পেটে লাথি মেরে ৩ মাসের ভ্রূণ নষ্ট করে দেন।

Advertisement

সোমবার রাতে বড় আন্দুলিয়া নতুনগ্রামের বাসিন্দা নিয়ামতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই তরুণীর শাশুড়ি পলাতক। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রপসা বলছেন, ‘‘যারা আমার সন্তানকে এ ভাবে শেষ করে দিল তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয়।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে আমরা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। ওই তরুণীর শাশুড়ির খোঁজেও তল্লাশি চলছে।’’ বছর খানেক আগে নতুনগ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন রূপসা। এক জলসায় আলাপ হয়েছিল স্থানীয় সাগর মল্লিকের সঙ্গে। সেখান থেকেই আলাপ ও প্রেম। মাস ছয়েক আগে কৃষ্ণনগরে এসে তাঁরা রেজিস্ট্রি করেন।

তবে এ বিয়েতে মত ছিল না সাগরের বাব-মায়ের। ফলে রূপসা বাপের বাড়িতেই থাকতেন। সাগর কাজ করতেন বেঙ্গালুরুতে। দিন কুড়ি আগে তিনি ফিরে এসে রূপসাদের বাড়ি থাকতে শুরু করেন। ক’দিন আগে পড়শি ও সাগরের আত্মীয়েরা সাগর ও রূপসাকে নিয়ে আসেন নতুনগ্রামে। তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেয়নি সাগরের বাবা ও মা। তাঁরা বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেন সাগরের এক কাকার বাড়িতে। ৪ জুলাই গ্রামের লোক ওই দম্পতিকে নিয়ামতের বাড়ি রেখে আসেন। সেই রাত থেকে শুরু হয় নির্যাতন। ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁকে শ্বশুর ও শাশুড়ি মারধর করে। মাটিতে পড়ে গেলে নাগাড়ে পেটে লাথি মারতে মারতে তারা বলে, ‘তোর সন্তানকে বাঁচতে দেব না’।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন