Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: জেলার কেউ জড়িত কি, গরু-পাচারে ছড়াচ্ছে ভয়

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেহগলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ক’জন তাবড় নেতার নাম উঠে এসেছে।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস ও বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর, ডোমকল শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২২ ০৮:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেন গ্রেফতার হতেই মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু নেতার নাম ভেসে উঠেছিল সাধারণ মানুষের মনে। আর এ বার খোদ অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে গুঞ্জন আরও জোরাল হল মুর্শিদাবাদের একাধিক তৃণমূল নেতাকে নিয়ে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেহগলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ক’জন তাবড় নেতার নাম উঠে এসেছে। ফলে অনুব্রত ও সেহগলকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মুর্শিদাবাদে থাবা বসাতে পারে সিবিআই। কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলছেন, “গরু পাচার হয়েছে বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদ দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে। তাই অনুব্রত গ্রেফতারের পরে তাদের তো একটু ভয়ডর লাগবেই।’’

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেহগলকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই জেলার যে নেতাদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা জেলা তৃণমূলের একেবারে প্রথম সারির নেতা। তবে জেলার তৃণমূল নেতা রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন বলছেন, ‘‘আমি কোন পরিবার থেকে রাজনীতিতে এসেছি সেটা জেলার সকলেই জানে। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই লাগাম টানা হয়েছে পাচারে। অন্য কোন কারণে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কেউ তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াতেই পারে। কিন্তু এই চক্রান্তকারীরা সফল হবে না।’’ তৃণমূলের দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানও বলছেন, ‘‘বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সিবিআই, ইডিকে কাজে লাগাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই জেলার তৃণমূল নেতাদের বিড়ম্বনায় ফেলতে নানা কৌশল তারা নিচ্ছে। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিজেপির এই চক্রান্ত প্রতিহত করব।’’ আর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন বলছেন, ‘‘পাচারের কারবারের সঙ্গে আমাদের কখনওই কোনও যোগাযোগ নেই।’’

Advertisement

মুর্শিদাবাদে পাচার অবশ্য নতুন কোনও ঘটনা নয়, বাম থেকে ডান সব আমলে সব সময়ই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার চলেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “গরু পাচারে শুধু নেতারা জড়িত রয়েছেন, তা কিন্তু নয়। বছর পাঁচেক ধরে গরু পাচার চলেছে জেলায়। এর সঙ্গে তৎকালীন প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশ ছাড়াও বিএসএফের দিকেও নজর দিতে হবে সিবিআইকে।’’

তবে জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের কথা, “কেউ যদি অসৎ হন, তিনি তার সাজা পাবেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। আদালত রয়েছে। কেউ যদি গরু পাচারে জড়িত থাকে সে জেলে যাবে। দল তার পাশে থাকবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন