ফটকের সামনে আবর্জনার স্তূপ, ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

সকাল সকাল টুকটুক চেপে হাজারদুয়ারির ভিআইপি গেটে এসে নামলেন একদল পর্যটক। কিন্তু নামতে গিয়ে বিপত্তি। পা পড়ল ডিমের খোসা ভর্তি ক্যারিব্যাগের উপর। টাল খেয়েও কোনও মতে সামলে নিলেন কয়েকজন। অদূরে পড়ে রয়েছে টাঙ্গা ঘোড়ার বিষ্ঠা। দুর্গন্ধে কয়েকজন নাকে রুমাল দিয়ে গেট পেরিয়ে ঢুকলেন।

Advertisement

গৌতম প্রামাণিক

মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৭
Share:

হাজারদুয়ারির ভিআইপি গেটের সামনে এভাবেই পড়ে রয়েছে আবর্জনা।— নিজস্ব চিত্র।

সকাল সকাল টুকটুক চেপে হাজারদুয়ারির ভিআইপি গেটে এসে নামলেন একদল পর্যটক। কিন্তু নামতে গিয়ে বিপত্তি। পা পড়ল ডিমের খোসা ভর্তি ক্যারিব্যাগের উপর। টাল খেয়েও কোনও মতে সামলে নিলেন কয়েকজন। অদূরে পড়ে রয়েছে টাঙ্গা ঘোড়ার বিষ্ঠা। দুর্গন্ধে কয়েকজন নাকে রুমাল দিয়ে গেট পেরিয়ে ঢুকলেন।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম দ্রষ্টব্য হল হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। সারা বছরে কমবেশি ১৫-১৬ লাখ পর্যটকদের আসেন। কিন্তু প্রাসাদের ভিআইপি গেটের বাইরে আবর্জনার স্তূপ দেখলে ভিরমি খেতে হয়। যেখানে সেখানে ডাঁই করে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। সেই সঙ্গে ঘোড়ার বিষ্ঠা। এ জন্য শুধু পর্যটকেরাই নন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়েন। হোটেল ব্যবসায়ী সাহেব সাহা বলেন, ‘‘এটাই যে হাজারদুয়ারির ভিআইপি গেট তা পর্যটকদের বলতে লজ্জা করে। পর্যটকদের গাড়ি থেকে কর আদায় করে পুরসভা। কিন্তু পরিষেবা বলতে কিছু নেই।’’

তবে শুধু হাজারদুয়ারি নয়। মুর্শিদাবাদ পুরসভার মধ্যে ১২টি ওই ধরনের সৌধ রয়েছে। সেখানেও স্তূপীকৃত আবর্জনার জন্য পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই খুব অসুবিধায় পড়েন। শহর মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাজারদুয়ারির কাছে পর্যটন সহায়তা কেন্দ্রে যে মন্তব্যের খাতার রয়েছে তাতে প্রায় প্রতিদিনই অপরিচ্ছন্নতার কথা পর্যটকেরা জানিয়ে যান। কিন্তু তাতেও কারও কোনও হোলদোল নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শহরের নানা জায়গায় টাঙ্গার ঘোড়ার বিষ্ঠা পড়ে থাকে যা শহরের জ্বলন্ত সমস্যা। এই সমস্যার প্রতিকার হওয়া উচিত।’’

Advertisement

তবে এ জন্য টাঙ্গা চালকদের দুষছেন মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান কংগ্রেসের শম্ভুনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কাঠগোলায় টাঙ্গা স্ট্যান্ড করেছি। হাজারদুয়ারি চত্বরে পুরসভার উদ্যোগে টাঙ্গা রাখার জন্য জায়গা ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেখানে কোনও টাঙ্গা চালক টাঙ্গা রাখেননি।’’

যদিও মুর্শিদাবাদ টাঙ্গাচালক ইউনিয়নের সম্পাদক মনু শেখের দাবি, লাইসেন্স-সহ সার্ভিস চার্জ হিসেবে পুরসভা টাঙা প্রতি ২৫০ টাকা করে নেয়। অথচ কোনও স্ট্যান্ড করে দেয়নি। কোনও পরিকোঠামো গড়ার কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘২০১১ সালে পুরপ্রধানের কাছে এসডিও সামনে কথা হয়েছিল বিষ্ঠা যাতে রাস্তায় না পড়ে তার জন্যে বিশেষ এক ধরনের বস্তার ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন