কল্যাণী পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাও-এর গাড়িতে গুলি চালানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়ে গেল জলঘোলা। রবিবার রাতে ওই ঘটনার পরেও পুলিশ এখনও আঁধারে। তবে, দলের একাংশ ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিছক ‘সাজানো’ বলে প্রচার শুরু করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ওয়ার্ড অফিসে যাচ্ছিলেন লক্ষ্মী। অভিযোগ, সেই সময়ে, মোটরবাইকে দুই দুষ্কৃতী লক্ষ্মী এবং ওই ওয়ার্ডের সম্পাদক রঞ্জিৎ দাসের গাড়ি আটকে গুলি চালায়। কোনও রকমে গাড়ির আসনের নিচে শুয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচেন লক্ষ্মী। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তও শুরু করে।
পুরসভা এবং কয়েকজন কাউন্সিলররের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে বরাবর সরব লক্ষ্মী। সেই ঘটনা নিয়ে মাস খানেক আগে পুরসভার মধ্যেই লক্ষ্মী এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্পাদক রঞ্জিৎ দাসকে মারধরও করা হয়েছিল। লক্ষ্মীর দাবি, দুই কাউন্সিলরের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বলেই তাঁদের মারধর করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও লক্ষ্মীর অভিযোগের তির তাঁদের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের খুন করতেই চেয়েছিল ওরা। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছি।’’ কিন্তু দলের উপর মহলের নেতাদের নির্দেশে তিনি পুলিশের কাছে তাঁদের নামে অভিযোগ করেননি।
তৃণমূলের অন্য একটি অংশের দাবি ওই দুই কাউন্সিলরের সঙ্গে লক্ষ্মীর গোলমালকে কাজে লাগিয়ে অন্য কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও একাংশের অনুমান। পুলিশ সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।
তবে ঘটনা যেই ঘটিয়ে থাক না কেন, কাউন্সিলর বা তাঁর সঙ্গিকে প্রাণে মারা উদ্দেশ্য দুষ্কৃতীদের ছিল না বলে মনে করছে পুলিশ। বিষয়টি যদি সাজানো না হয়, তবে লক্ষ্মীদের ভয় দেখানোই ছিল দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য।
পুলিশ অবশ্য এ ব্যাপারে এখনই কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, সব দিক কোলা রেখেই তদন্ত চলছে।