বিদ্যুৎ-কর্তাকে হেনস্থা, নালিশ অপহরণেরও

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ফরাক্কার বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৬
Share:

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ফরাক্কার বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

হামলাকারীরা মারধর করে দফতরের সহকারি বাস্তুকারকে জোর করে মোটরবাইকে চাপিয়ে গ্রামে নিয়ে যায়। ঘণ্টা খানেক পরে ফরাক্কার তিলডাঙা গ্রামের এক চায়ের দোকান থেকে সুমনকুমার মাঝি নামে ওই বাস্তুকারকে পুলিশ উদ্ধার করে। হামলাকারীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ।

ঘটনার পর দফতরের কর্মীরা অফিস থেকে পালিয়ে কোনওরকমে মারধরের হাত থেকে রক্ষা পান। ফরাক্কায় থানায় অভিযোগ জানান ওই নিগৃহীত বিদ্যুৎ কর্তা। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।

Advertisement

রীতিমত আতঙ্কিত সুমনবাবু বলছেন, “এরপর কী ভাবে থাকব ফরাক্কায়? সেটাই ভাবছি।”

গত কয়েকদিন ধরেই তিলডাঙা সহ আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তিলডাঙার কিছু বাসিন্দা এ নিয়ে ফরাক্কার বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে অভিযোগও করেছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অভিযোগ পেয়েও কোনও ব্যবস্থা নেননি দফতরের কর্তারা। ইদের দিন সন্ধ্যা থেকে ফের বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এলাকা।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ গ্রামের জনা পঞ্চাশেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক মোটরবাইকে চেপ‌ে চড়াও হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরে। তখন অফিসে নিজের ঘরেই ছিলেন সুমনবাবু। হামলাকারীরা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে অফিস থেকে বের করে বাইকের পিছনে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। গ্রামেরই এক চায়ের দোকানে বসিয়ে রেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

পুলিশ গিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর অপহৃত সুমনকুমার মাঝিকে উদ্ধার করে। এ দিনই পুলিশের কাছে নিগ্রহ ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন করেছেন ওই আধিকারিক।

হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে কোনও কথা বলতে চাননি সুমনবাবু।

কিন্তু কেন এই হামলা? তিনি জানান, বিদ্যুতের দু’টি ফিডার রয়েছে তিলডাঙা এলাকায়। এ দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। কর্মীরা সময় মতো সেখানে গিয়ে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেন। তারপরেও এ ভাবে হামলা চালানো হল। ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের বাড়ি তিলডাঙা গ্রামেই। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। কিন্তু তা বলে দফতরে চড়াও হয়ে কর্মী ও অফিসারকে পেটালেই সব সমস্যার সমাধান হবে? তৃণমূলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।’’

তৃণমূলের ফরাক্কা ব্লকের সভাপতি মহম্মদ বদরুদ্দোজা অবশ্য বলছেন, “আমার দলের লোকজন ওই ঘটনায় জড়িত শুনেই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলি। ওই গ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। লোকজন এ দিন অফিসে আসেন ঠিকই, কিন্তু তারা ওই অফিসারকে নিগ্রহ করেননি।’’

ঝুলন্ত দেহ। এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কান্দির জেমো রঘুনাথপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম রামচন্দ্র হাজরা (৫৫)। এ দিন রাতে বাড়ি থেকেই ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মদ খেতেন। তাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও হত। ওই দিন সন্ধ্যায় অশান্তির মাত্রা চরমে ওঠে। অভিমানে ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের অনুমান। দেহটি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন