Accident

ডেঙ্গিতে মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্মী স্বামীর, শোকে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর

রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নদিয়া শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন নদিয়ার বিকাশ হালদার। বগুলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ পরেও সুস্থ হচ্ছিলেন না দেখে জ্বর এবং গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। জ্বর না কমায় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকায় তাঁকে বাইরে থেকে বেশ কয়েক দফা অনুচক্রিকা সরবরাহ করা হয়। তাতেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিকাশের। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর।

Advertisement

তাঁর মৃতদেহ হাঁসখালির বেনালি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছনোর পর শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী প্রীতি হালদার। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রীতি। পরিজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়ে প্রীতিকে। প্রীতির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের এক সদস্য।

বিকাশের পরিবারের সদস্য প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, ‘‘দাদা (বিকাশ) বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় যে তার ডেঙ্গি হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই বৌদি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বৌদির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকাশের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুলা হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে শেষকৃত্যের জন্য বিকাশের দেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি স্থানীয় শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন