বড় ফাটল, রণগ্রামে সেতু বন্ধ

বৃহস্পতিবার কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে দ্বারকা নদীর উপর রণগ্রামের সেতুর রেলিঙের কাজ পরীক্ষা করতে গিয়ে পূর্ত কর্তাদের চোখে পড়ে সেতুর গায়ে বড় ধরনের ফাটল তৈরি হয়েছে। ভারী যানবাহন নিত্য চলাচল করলে যে কোনও দিন সেটিও মাঝেরহাটের স্মৃতি ফিরিয়ে দিতে পারে।

Advertisement

কৌশিক সাহা

রণগ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪২
Share:

রণগ্রাম সেতু

মাঝেরহাট চোখ খুলে দেওয়ায় রক্ষা পেল রণগ্রাম সেতু।

Advertisement

মঙ্গলবার, কলকাতার মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে, জেলার আনাচ কানাচে ছড়িয়ে থাকা নড়বড়ে সেতুগুলির দিকে নজর পড়েছিল পূর্ত দফতরের। আর তারই জেরে বৃহস্পতিবার কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে দ্বারকা নদীর উপর রণগ্রামের সেতুর রেলিঙের কাজ পরীক্ষা করতে গিয়ে পূর্ত কর্তাদের চোখে পড়ে সেতুর গায়ে বড় ধরনের ফাটল তৈরি হয়েছে। ভারী যানবাহন নিত্য চলাচল করলে যে কোনও দিন সেটিও মাঝেরহাটের স্মৃতি ফিরিয়ে দিতে পারে।

এ দিন সকালেই তাই ওই সেতুর উপরে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি-বহরমপুরের পথে ওই সেতুটির শেষ প্রান্তে ১২ মিটার জায়গা জুড়ে দীর্ঘ ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর মাঝামাঝি জায়গা জুড়েও চিড় স্পষ্ট। সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন যাতায়াত করলে সেই ফাটল যে অচিরেই বড় হয়ে উঠবে, বলাই বাহুল্য। ব্যাপারটি চোখে পড়তেই পূর্ত কর্তারা জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওই রুটে যানবাহন চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, “রণগ্রামের সেতুটিতে ফাটল দেখা গিয়েছে। পূর্ত দফতর দ্রুত কাজ শুরু করছে। পুলিশকে ওই রুটে যানবাহন বন্ধ করতে বলা হয়েছে।” পূর্ত দফতরে বহরমপুর ১ নম্বর বিভাগের আধিকারিক বিধানচন্দ্র মণ্ডল ও কান্দি মহকুমার পূর্ত আধিকারিক রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেতুর অবস্থা খতিয়ে দেখে দ্রুত তা মেরামতির নির্দেশ দিয়েছেন। বিধান বলেন, “জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই রুটে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেতুর কাজ শুরু হবে। মনে হচ্ছে সেতু মাসখানেক বন্ধ রেখেই ওই কাজ করতে হবে।’’

Advertisement

রঞ্জন বলেন, “সেতু বহু পুরনো। বছর তিনেক আগে শেযবার সেতুর সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তখন কিন্তু এমন ফাটল ধরা পড়েনি।” পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৩৮ সালে কান্দি ও বহরমপুর শহরের যোগাযোগ তৈরি করতে দ্বারকা নদীর উপর ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। শুধু কান্দি-বহরমপুর নয়, ওই সেতু জুড়ে দিয়েছে, পড়শি বীরভূম ও বর্ধমান জেলাকেও। এখন প্রশ্ন, তিন বছর আগে সংস্কার হলেও ফাটল কেন চোখে পড়ল না? পূর্ত দফতরের এক কর্তাই বলছেন, ‘‘শুধু রং করলেই সংস্কার হয় না। সেতুর অবস্থা খুঁটিয়ে দেখা উচিত ছিল বিভাগীয় কর্তাদের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন