‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত জনসমাবেশ। বুধবার জেলাসদর কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র।
দ্বিতীয় দিনেও ভালই ভিড় হল সরকারের ‘দুয়ারে’।
বুধবার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ বিভিন্ন শিবিরে হাজির হয়েছেন। নিজেদের সমস্যার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জানিয়েছেন। অনেক সমস্যা সেখানে বসেই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। আবার কিছু সমস্যা আগামী শিবিরে মিটে যাবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তেহট্ট ১ ব্লকের পাথরঘাটা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবিরে এসে স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ বিশ্বাস, জুলফিকার মণ্ডলেরা বলেন, “সকাল-সকাল এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। চিকিৎসার জন্য সরকারি টাকা পাওয়া যাবে বলে শুনছি।” একই কথা শুনিয়ে চম্পা বিবি বলেন, “আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে এসেছি।”
রানাঘাট ২ ব্লকের রঘুনাথপুর হিজুলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজুলি শিক্ষা নিকেতনে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল ১০টার আগে থেকেই আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আসতে শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অনেকে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে এসেছিলেন, অনেকে বিষয়টি সে ভাবে না জানায় সব কাগজ আনতে পারেননি। তারা আধিকারিকদের মুখে শুনে বাড়িতে সেই সব কাগজ আনতে ছোটেন। অনেকে বিদ্যালয়ের মাঠে বসে আবেদনপত্র পূরণ করতে দেখা যায়। অনেকে আবার অভিযোগ করেছেন, আবেদনপত্র জমা দিলেও তাদের কোন ‘রিসিট’ দেওয়া হয়নি।
রানাঘাট ২ বিডিও খোকন বর্মন বলেন, “এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। অনেকের সমস্যা এ দিনই মিটে গিয়েছে। যাঁদের মেটেনি, কাজগপত্র ঠিকঠাক থাকলে আগামী শিবিরে মিটে যাবে।”