হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।
আবারও বেলাগাম ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফের হুমকি দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে তিনি। মঙ্গলবার তাঁর হুঁশিয়ারি, বেলডাঙার এসডিপিওর কলার ধরবেন তিনি। সেই সঙ্গে, পুলিশকে কটাক্ষ ‘আরএসএসের দালাল’ বলে। আবারও নিশানা করলেন নিজের দল তৃণমূলকেও। আগামী ৬ ডিসেম্বর রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক দখল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এই সব কিছুর কেন্দ্রে তাঁর পরিকল্পিত ‘বাবরি মসজিদ’।
এসডিপিওর বিরুদ্ধে হুমায়ুনের অভিযোগ, ভয় দেখানো ও কাজে বাধা দেওয়ার। ভরতপুরের বিধায়ক এসডিপিওকে নিশানা করে বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করে দিচ্ছি আগুন নিয়ে খেলবেন না। এসডিপিও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এটা মুর্শিদাবাদ জেলা। ভগবানগোলায় আপনি অনেক দাদাগিরি করে এসেছেন। অনেক জীবন নষ্ট করেছেন। আপনার সব ইতিহাস জানি। কিন্তু এটা বেলডাঙা। হুমায়ুনের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে যাবেন না। আপনার মতো এসডিপিও-কে আমি কেয়ার করি না। যে দিন আপনার কলার ধরে নেব সে দিন কলার ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার লোক থাকবে না।’’
এর পরেই পুলিশকে ‘আরএসএসের দালাল’ বলে কটাক্ষ করেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘বেলডাঙায় যখন কার্তিকপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো হচ্ছে তখন মুর্শিদাবাদের পুলিশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সুষ্ঠুভাবে সবটা পরিচালনা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসপি, আইসি, ওসি, এসডিপিও সব মাঠে নেমে পড়েন।” বিধায়ক তাঁর পরিকল্পিত বাবরি মসজিদের কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এক বছর আগে থেকে বলছি বেলডাঙার কোনও এক জায়গায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করব তাতে তোদের গা জ্বলছে ? তোরা বিজেপির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিস?’’ আরও বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে আর আপনারা আরএসএসের দালালি করবেন ?’’ তাঁর দাবি, আগামী শনিবার রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক দখল করার।
হুমায়ুনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এসডিপিও-র প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “কোনও মন্তব্য করব না।” মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসেছেন। আমরা সেই জন্য ব্যস্ত আছি। কে কোথায় কী বলছেন তা নিয়ে ভাববার সময় নেই। সমগ্র বিষয়ের উপরে রাজ্য নেতৃত্ব নজর রাখছেন।’’
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার দুর্গাপুর থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাবরি মসজিদ বানানোর চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদ করবে হিন্দুরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নিজের জমিতে মন্দির-মসজিদ-গির্জা করো, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাবরের নাম নিলে আমরা প্রতিবাদের ঝড় তুলব। এখানে আক্রমণকারীর নামে মসজিদ হবে না। হিন্দুরা প্রতিবাদ করবে।’’