Murder

ভাড়াটের সঙ্গে প্রেম, স্বামীকে মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিলেন স্ত্রী! ৪ মাস পর উদ্ধার দেহ

বড় মেয়ে এসে বাবার খোঁজ করলে মেজো মেয়ে কেঁদে ফেলে। জানায় মা আর ভাড়াটে কাকু মিলে ধারালো বঁটি দিয়ে মেরেছে বাবাকে। এর পর থানায় যান বড় মেয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৪২
Share:

পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। —প্রতীকী চিত্র।

ভাড়াটের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাড়ির মালকিনের। বাড়ির কর্তা তা জেনে ফেলায় শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। অভিযোগ, ‘পথের কাঁটা’ স্বামীকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে খুনের ছক কষেন স্ত্রী। খুনের পর দেহ ফেলে রাখা হয় বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। মাস চারেক পর উদ্ধার হল সেই দেহ। নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মোল্লা বেলিয়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিণঘাটা থানার বাসিন্দা আজিজুল মণ্ডলকে বেশ কয়েক মাস এলাকায় দেখা যায়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির দেহ। আটক করা হয় আজিজুলের স্ত্রী হামিদা বিবিকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন আজিজুলের বড় মেয়ে। তিনি বাবার খোঁজ করলে সবাই চুপচাপ ছিলেন। হঠাৎ আজিজুলের মেজো মেয়ে কেঁদে ফেলে। সে দিদিকে জানায়, মা এবং ভাড়াটে কাকু বাবাকে মেরে ফেলেছেন! ছোট বোনের কথায় চমকে ওঠেন দিদি। এর পর বোন কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘‘মা আর কাকু মিলে ধারালো বঁটি দিয়ে মেরেছে বাবাকে।’’

এটা শোনা মাত্র হরিণঘাটা থানায় ছোটেন আজিজুলের বড় মেয়ে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আজিজুলের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে হয়। টানা প্রশ্নোত্তর পর্বে পুলিশ জানতে পারে, পেশায় সবজি ব্যবসায়ী সমীর ঘোষের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হামিদার। মাস কয়েক আগে সমীরকে নিজেদের একটি ঘর ভাড়া দেন হামিদা। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে ভাড়াটের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন আজিজুল। শুরু হয় কলহ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে হামিদা স্বীকার করেছেন যে, সমীরের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেন। এর পর সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন দেহ।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ তোলে পুলিশ। বাবার খুনের ঘটনায় মায়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মেয়ে। এ দিকে ওই ভাড়াটে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন