প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে শান্তিপুরে।
সোম থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় শান্তিপুর ব্লকে নতুন করে ছ’জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই নিয়ে এই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩। নতুন আক্রান্ত ছ’জনের মধ্যে বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। এর মধ্যে একটি এক বছরের শিশু এবং তার মা-ও রয়েছে। এ ছাড়া হরিপুর এলাকায় এর আগে আক্রান্ত হওয়া এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা তাঁর দুই আত্মীয়ও রয়েছেন।
প্রথম দিকে শান্তিপুর ব্লকে করোনা আক্রান্তের হার বেশ কমই ছিল। কিন্তু ক্রমশ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নবলা পঞ্চায়েত এলাকার প্রফুল্লনগরের এক বাসিন্দা রয়েছেন, যিনি কর্নাটকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
সেখান থেকে ফেরার পরে তাঁকে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র থেকে বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকায় ফেরা এক মহিলা এবং তাঁর এক বছরের ছেলের রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে। আরবান্দি ২ পঞ্চায়েত এলাকাতেও মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আবার হরিপুর এলাকায় সম্প্রতি এক জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা অনেকের পরীক্ষা করানো হয়। এর মধ্যে তাঁর দুই আত্মীয়ের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। ব্লকে এই প্রথম কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকের রিপোর্ট পজ়িটিভ এল।
প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়াতেও সম্প্রতি নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শান্তিপুর ব্লক ছাড়াও আশপাশের রানাঘাট ১ ব্লকের একাংশ, বীরনগর এবং তাহেরপুর শহর থেকেও মানুষ সেখানে লালারসের নমুনা দিচ্ছেন। প্রতি দিন গড়ে ৪০টির মতো নমুনা সংগৃহীত হচ্ছে।