Berhampore

Indian Railways: নশিপুর রেল সেতুর কাজ শুরুর নির্দেশ

জেলা সদর শহর বহরমপুরের বাসিন্দারা ভাগীরথীর উভয় পাড়ের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের রেল যোগাযোগের সুবিধা পেয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।

Advertisement

প্রদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২২ ০৮:২৯
Share:

নশিপুর রেল সেতু। নিজস্ব চিত্র।

নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতুর কাজ শুরু করার নির্দেশিকা রেল বোর্ড থেকে এসে পৌঁছল জেলাশাসকের দফতরে। বুধবার এ কথা জানালেন মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র।

Advertisement

জেলা সদর শহর বহরমপুরের বাসিন্দারা ভাগীরথীর উভয় পাড়ের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের রেল যোগাযোগের সুবিধা পেয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। নশিপুর সেতু হয়ে গেলে আগামীতে বহরমপুর স্টেশন থেকেও কিছু অতিরিক্ত উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন পেতে চলেছে।

বর্তমানে হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেল পথের দূরত্ব ৫৬৭ কিলোমিটার এবং শিয়ালদহ থেকে ভায়া আজিমগঞ্জ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দূরত্ব ৫৭৪ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে ভায়া বোলপুর, রামপুরহাট নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দূরত্ব ৫৭৩ কিলোমিটার।

Advertisement

আগামীতে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু চালু হলে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দূরত্ব গিয়ে দাঁড়াবে ৫৫৩ কিলোমিটার। মোটের উপর দূরত্ব কমবে ২১ কিলোমিটার বলে রেল দফতর সূত্রে খবর। তবে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু চালু হলে পূর্ব রেলওয়ের আরও একটি বিকল্প পথ খুলে যাচ্ছে উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের। যদিও এই পথে রাজধানী দিল্লি যেতে হলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ অতিরিক্ত অতিক্রম করতে হবে।

মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিনুর রহমান সরকার বলেন, ‘‘আমরা পূর্ব রেল দফতরে আমাদের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলাম। রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অবিলম্বে রেলসেতু চালু হবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয় সে দিন। সেই কারণে আমাদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’

মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে এ বিষয়ে আমি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম। কয়েক দিন আগে রেল দফতর থেকে মৌখিক ভাবে আমাকে জানানো হলেও রেলওয়ে বোর্ড থেকে বুধবার ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল এসে পৌঁছিয়েছে আমার দফতরে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১লা নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হবে এবং ৩১শে মার্চ ২০২৩-এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।’’

বহরমপুর সাংসদ কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্রিটিশ আমলের তৈরী নশিপুর রেলসেতু পুরোপুরি ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। সেটাকে জীবন্ত করে ইউপিএ সরকারের সময় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সহায়তায় টাকা অনুমোদন করা হয়। সেতুর কাজ বহু পূর্বেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে রাজ্যের কোন রকম মাথাব্যথা ছিল না। এ নিয়ে লোকসভায় রেল বাজেট অধিবেশনে ও সাধারণ প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি আলোকপাত করেছি কিছু দিন আগে। সেই সময় রেলমন্ত্রী আমাকে বলেন, রাজ্য সরকার সহযোগিতা করলে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে না।’’

রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘উনি বরাবরই রাজ্য সরকারের বিরোধিতাতে অভ্যস্ত। নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু অবিলম্বে চালু করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রককে আগেই চিঠি দিয়েছেন। কিছু দিন আগে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। রেলসেতুর কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানিয়ে এসেছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement