BJP

বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বাতিল সভা

বক্তৃতা  চলার সময়ে বেশ কয়েকজন বাইরে থেকে এসে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই সভা বন্ধ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট- গয়েশপুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি চলাকালীন গোলমালের কারণে মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হল সভা। শনিবার রানাঘাট শহরের পূর্বপাড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত পথসভায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। অন্য দিকে, গয়েশপুরে বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি চলাকালীন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

রানাঘাট শহর বিজেপি সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক বলেন, “সে রকম কিছু হয়নি। কয়েকজন এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। সেই সময় সভাস্থলে মহিলা এবং বয়স্ক কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে মাঝপথে সভা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দু’একজন বক্তৃতা করার পর ওই ঘটনা ঘটে।”

কিন্তু কারা এসে গোলমাল বাধালেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দলের শহর সভাপতি বলেন, ‘‘ওদের মধ্যে আমাদের দলের দু’একজন ছিল। বাকিরা কিছু দিন হয়েছে তৃণমূল থেকে আমাদের দলে এসেছে। বিষয়টি আমি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

Advertisement

দল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম পাড়ে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে কয়েকটিতে ওই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। এ দিন ১৩ নম্বরের ওয়ার্ডের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দলের ওই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। বক্তৃতা চলার সময়ে বেশ কয়েকজন বাইরে থেকে এসে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তাঁদের দাবি ছিল, ওই সভা বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত দলের অন্য কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানে বেশ কিছু মহিলাও ছিলেন। সেখানে বসার জন্য পাতা চেয়ার ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। আতঙ্কে অনেকে সেখান থেকে পালিয়ে যান। শেষে সভা বাতিল করে দেওয়া হয়।

রানাঘাট শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি পিন্টু সরকার বলেন, “ওই দিন বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। এখনও ওরা ক্ষমতায় আসেনি, তাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছেন, ওরা এলে কী হবে?”

গয়েশপুরের ঘটনায় বিজেপির দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় গয়েশপুরের বেদিভবন বাজার এলাকায় ওই কর্মসূচি ছিল। সেখানে গয়েশপুর শহর মণ্ডলের সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল এবং গয়েশপুর শহরের বিজেপির পর্যবেক্ষক চঞ্চল পাল ছিলেন। চঞ্চল জানান, ওখানে পথসভা চলছিল। সেখান থেকে তিনি গয়েশপুরে তৃণমূলের মদতে মাটি কাটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এবং দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়েও চঞ্চল সমালোচনা করেন। অভিযোগ, তার পরেই তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। চঞ্চল বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। কারণ, গয়েশপুরে পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। এই অবস্থায় অভিযোগ জানিয়ে লাভ নেই।’’

গয়েশপুরের বাসিন্দা তথা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চৌধুরী বলেন, ‘‘ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছিল। তৃণমূল সমবেত হয়ে তার প্রতিবাদ করেছে মাত্র। কাউকে মারধর করা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন