TMC

TMC: রাধারাণী নিয়ে কাজিয়ায় ভাগ দলীয় কর্মসূচিও

পেট্রল ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচিও শনিবার পৃথক ভাবে পালন করেছে দুই গোষ্ঠী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ ০৫:২৭
Share:

দুই সভা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।

প্রতারণার অভিযোগে ধৃত রাধারাণী বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছেন কৃষ্ণনগর শহরের তৃণমূল নেতারা। তা এতটাই প্রকট যে পেট্রল ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচিও শনিবার পৃথক ভাবে পালন করেছে দুই গোষ্ঠী।

Advertisement

দিন কয়েক আগে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নানা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তরুণ-তরুণীদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণনগরের কাঁঠালপোতার বাসিন্দা রাধারাণী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে সিআইডি-র ডিএসপি হিসেবে পরিচয় দিতেন বলেও অভিযোগ। প্রথমে এক তরুণী এবং তার পর এক তরুণ কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। গা ঢাকা দিয়েও শান্তিপুর থেকে রাধারাণী গ্রেফতার হন। আপাতত তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

প্রথম থেকেই রাধারাণী প্রসঙ্গে কার্যত দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল নেতারা। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অসীম সাহার ঘনিষ্ঠেরা বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও তৃণমূলের শহর কমিটির সভাপতি শিবনাথ চৌধুরীর সঙ্গে রাধারাণীর ছবি সামনে নিয়ে আসেন। শিবনাথ-ঘনিষ্ঠেরা আবার অসীম সাহা এবং জেলা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবাশিস রায়ের সঙ্গে রাধারাণীর ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে পাল্টা প্রচারে নামেন। শুধু তা-ই নয়, অসীম সাহারা যখন রাধারাণীর গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছেন, তখনও শিবনাথ রাধারাণীকে সমাজসেবী বলে দাবি করে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরেই দলের অন্দরে শিবনাথ ও অসীমের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা সকলের জানা। রাধারাণীকে কেন্দ্র করে সেই বিবাদ ফের প্রকাশ্য এসেছে। শনিবার অসীম সাহা ও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা পোস্ট অফিস মোড়ে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। আবার সদর মোড়ে মঞ্চ করে একই কর্মসূচি পালন করেন শিবনাথেরা।

অসীম সাহার বক্তব্য, “যারা রাধারাণীর হয়ে ওকালতি করছে, যারা তাকে সমাজসেবী বলে দাবি করেছে, তার অনুগ্রহ নিয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা এক মঞ্চে থাকতে পারব না। তাদের সঙ্গে একত্রে দলের কর্মসূচি নিলে প্রতারিত দরিদ্র ছেলেমেয়েদের প্রতি অবিচার করা হত। তাই আলাদা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” কারও নাম না করে শিবনাথ চৌধুরীর পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “রাধারাণীর থেকে ওঁদের সংবর্ধনা নেওয়ার ছবিও আমাদের কাছে আছে। উনিই প্রথম রাধারাণীকে সমাজসেবী বলে ক্লিনচিট দেন। ওঁর বক্তব্য শুনেই তো আমরা রাধারাণীকে প্রথম চিনেছিলাম।”

দুই নেতার এই প্রকাশ্য কাজিয়া প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায়ের দাবি, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্যও করব না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন