TMC

Haringhata: ক্লাবকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে তৃণমূলে

তৃণমূল সূত্রের খবর, এলাকার দুই পরিবারের মধ্যে এক পরিবারের এক সদস্য হরিণঘাটা শহরে তৃণমূলের শহর সভাপতি উত্তম সাহার ঘনিষ্ঠ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ০৯:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

একটি ক্লাবকে ঘিরে হরিণঘাটায় তৃণমূলের দুই শিবিরের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। শুক্রবার রাতে এই গোলমালের জেরে আহত হয়েছেন কয়েক জন। হরিণঘাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর এলাকা থেকে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার কল্যাণী কোর্টে তাঁদের তোলা হলে ধৃতেরা অবশ্য জামিন পেয়ে যান।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, এলাকার দুই পরিবারের মধ্যে এক পরিবারের এক সদস্য হরিণঘাটা শহরে তৃণমূলের শহর সভাপতি উত্তম সাহার ঘনিষ্ঠ। অন্য পরিবারের এক সদস্য উত্তম সাহার বিরোধী শিবির বলে পরিচিত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর সুরজিৎ বিশ্বাসের অনুগামী। এলাকার ক্লাবটি উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের জমিতে রয়েছে। সেখানে কয়েকটি পুকুর আছে। একটি কাপড়ের হাটও রয়েছে। এই দুই জায়গা থেকে মোটা টাকা আসে ক্লাবে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকেন তাঁদের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এলাকার কিছু মানুষ ক্লাবের নিয়ন্ত্রণের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চান। ক্লাব নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠার মধ্যে সমস্যা চলছে। পুলিশ প্রশাসন কয়েক মাস আগেই ক্লাব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি পুরসভা থেকে আলোচনা করা হয় যে, পুজোর জন্য ক্লাব খোলা হবে। সিদ্ধান্তের পরেই এই গোলমাল। যদিও পুলিশের দাবি, ওটা পারিবারিক গোলমাল। ওই দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

কিন্তু সুরজিৎ শিবির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছে। সুরজিত শিবিরের অভিযোগ, উত্তম সাহা তৃণমূলের শহরের সভাপতি হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা ওই এলাকায় দলীয় কর্মীদেরই একাংশের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে। কয়েক দিন আগে ওয়ার্ড অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে অনেক আলোচনার পর তা খোলা হয়। কিন্তু আবার সমস্যা শুরু করেন উত্তম অনুগামীরা।

Advertisement

সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, “শুক্রবার রাতে আমাদের দলের কর্মীরা কেউ খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। কেউ আবার বাড়িতে ছিলেন। সেই সময় উত্তম সাহার অনুগামীরা রাস্তায় এমনকি বাড়িতে ঢুকেও তাঁদের মারধর করে।” এর পাল্টা উত্তম সাহার অভিযোগ, “সুরজিৎ বিশ্বাস ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হওয়ার পরেই যত সমস্যা হচ্ছে। জোর করে নির্বাচিত ক্লাব কমিটিকে উনি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গোলমালে উনিই মদত দিচ্ছেন।”

হরিণঘাটা পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের প্রধান দেবাশিস বসু বলেন, “এটা দলের কোনও বিষয় নয়। স্থানীয় কয়েক জন সমস্যা করছেন। পুলিশকে বলা হয়েছে যে, যাঁরাই অশান্তি করবে তাঁদের বিরুদ্ধে যেন কড়া হাতে ব্যবস্থানেওয়া হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন