Jangipur

ছন্দে ফিরছে জঙ্গিপুর, এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ মহকুমা জুড়ে, মোতায়েন পুলিশ

এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায়। রঘুনাথগঞ্জ এবং সুতি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫২
Share:

জঙ্গিপুরে মাইকিং করে চলছে প্রচার। — নিজস্ব চিত্র।

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর। বৃহস্পতিবার নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। জঙ্গিপুর ও সুতি থানা এলাকা এখনও কিছুটা থমথমে থাকলেও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে বেরিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।

Advertisement

গত মঙ্গলবার সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুর মোড়। পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে একই দাবিতে বুধবার সুতি থানার আহিরণ মোড় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। সেই অশান্তির রেশ কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরছে জঙ্গিপুর।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘এলাকা পুরোপুরি স্বাভাবিক। নতুন করে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।’’ তবে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায়। রঘুনাথগঞ্জ এবং সুতি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যেরা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সামাজিক বার্তা দিচ্ছেন। ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ওবায়দুল্লাহ বুখারি বলেন, ‘‘উত্তেজনা প্রায় সম্পূর্ণ প্রশমিত। তবে পরিকল্পিত ভাবে কেউ কোথাও উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করলে পুলিশ কড়া হাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এলাকার মানুষও পথে নেমে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন।’’ স্থানীয় মিষ্টির দোকানের মালিক নন্দকুমার কুন্ডু বলেন, ‘‘এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে বলেই দোকান খুলতে পেরেছি। যদিও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চলছে পুলিশি টহলদারিও। তুলনায় কম হলেও বিক্রি বাট্টা চলছে।’’

Advertisement

রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক তথা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তৃণমূলের আখরুজ্জামান বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছিল, তা কাম্য ছিল না। প্রশাসনের তৎপরতায় এবং এলাকার মানুষের সহযোগিতায় দ্রুত পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত রাশ ধরে রাখতে পারেননি বলেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যাঁরা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement