তালপাতার প্রতিমা। ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র
শুরুটা হয়েছিল পাড়ার যুবকদের হাত ধরেই। কিন্তু তাঁরা নানা ব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়ায় প্রায় বন্ধই হতে বসেছিল পুজো। সেই সময় পুজো বাঁচাতে এগিয়ে আসেন পাড়ার মহিলারা।
তার পরে পার হয়ে গিয়েছে সাত বছর। ইসলামপুর সরকারপাড়ার পুজো এখন মহিলাদের পুজো হিসেবেই পরিচিত হয়ে গিয়েছে। চাঁদা তোলা থেকে ম্যারাপ বাধার নজরদারী, প্রতিমার বাইনা, পুজোর বাজার সবই করেন সরকার পাড়ার মহিলারা। উদ্যোক্তাদের দাবি তাঁদের এই মহিলা ক্লাবের সদস্য প্রতি বছরই বাড়ছে। এবার তাঁদের চমক তালপাতার প্রতিমা।
নন্দিতা, জয়ন্তীদের এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। তবুও তার মধ্যেই ঘর সামলাতে হচ্ছে। কেউ ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন চাঁদা তুলতে। এক চক্কর মেরে বাড়িতে ফিরে হেঁশেল সামলানো। দুপুরে পুজো মণ্ডপে। সেখানকার কাজ তদারকি করে ফের চাঁদা তুলতে বেরনো। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ফের সংসারের কাজ।
কেউ আবার পাশের পাড়ায় গিয়ে দেখে আসছে ঠাকুরের কাজ কতটা এগিয়েছে। সরকারপাড়া মহিলা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদিকা নন্দিতা দাসের কথায়, ‘‘মায়ের পুজো চোখের সামনে বন্ধ হচ্ছে দেখে আমরা আর থাকতে পারিনি। হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছিলাম। এখন অনেক মহিলারা আসছে আমাদের সঙ্গে। ফলে বাড়ছে বাজেটও।’’
কমিটির সভাপতি জয়ন্তি ভদ্র বলেন, ‘‘একটা সময় অনেকে হেসেছিল আমাদের এই দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে। কিন্তু এখন তারাই আমাদের সঙ্গে এসে পুজোর ভার সামলাচ্ছেন।’’
শুধু মহিলাদের পুজোই নয়, ইসলামপুর মেতেছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনায়। ডোমকল মহকুমার অন্যত্র জগদ্ধাত্রী পুজোর তেমন চল নেই। কিন্তু ইসলামপুর বাজার এলাকায় ধুমধাম করেই পুজো হচ্ছে বছর কয়েক থেকে। এমনকী এখন শুরু হয়েছে থিম পুজোও।
ওই এলাকায় মোট সাতটা পুজোর আয়োজন হয়েছে এই বছর। সিনেমা হল পাড়ায় একটি ক্লাবের পুজোয় বসবে বড় মেলাও। ইসলামপুরের বাসিন্দা ধীমান দাস বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় জগদ্ধাত্রীর প্রচলন নেই বললেই চলে। গত কয়েক বছর ধরে এই পুজোও গতি পেয়েছে। লেগেছে থিমের ছোঁয়াও।’’