চাপে পড়ে ইস্তফার সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষের

চাপের মুখে পড়ে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন কান্দি রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার ওই কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলেজে নোটিস টাঙান কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:১৫
Share:

চাপের মুখে পড়ে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন কান্দি রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার ওই কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলেজে নোটিস টাঙান কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সে দিনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন বহিরাগত সদস্য কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্র পরিষদের সদস্যরা অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করেন, ‘‘নোটিস অগ্রাহ্য করে টিএমসিপি-র বহিরাগত নেতারা কী ভাবে কলেজে ঢুকছে?’’ এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওই দুই ছাত্র সংগঠনের বচসা শুরু হয়। চাপের মুখে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বারকেশ্বর দত্ত ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে কলেজ সূত্রে খবর।

Advertisement

সপ্তাহ খানেক আগে এক পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জনাকয়েক বহিরাগত নেতার ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, ওই ছাত্রকে বৃত্তির পুরো টাকা দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগত নেতা তন্ময় ঘোষ কলেজে গিয়ে ওই ছাত্রের বৃত্তির পুরো টাকা দেওয়ার দাবি জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পড়ুয়ার ফি বকেয়া ছিল। বৃত্তির টাকা থেকে তা কেটে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, তন্ময়বাবু ভাঙচুর চালায়। তারপরেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, কলেজে বহিরাগত কেউ ঢুকতে পারবেন না।

কিন্তু অভিযোগ, টিএমসিপির লোকজন সে সব নিয়ম ভেঙে এ দিন কলেজে ঢোকেন। ছাত্র পরিষদের দাবি, টিএমসিপি বাইরের লোকজনকে এনে ঝামেলা পাকাচ্ছে। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না। অধ্যক্ষ দ্বারকেশ্বরবাবু এ দিন বহিরাগতদের প্রবেশের বিষয়ে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দিতে পারেননি। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ছাত্র সংগঠনগুলি কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা অরিন্দম মিস্ত্রি বলেন, “ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের চাপের মুখে পরেই কলেজের অধ্যক্ষ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন