ভিডিয়ো-অস্ত্রে শান তৃণমূলের

জেলার দলীয় কর্মীদের ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জনসংযোগ যাত্রার পাশাপাশি এই ভিডিয়োটি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ০২:৩২
Share:

দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই এ বার বিজেপি-বিরোধী প্রচারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল। বিশেষ করে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে নদিয়ায় প্রচারে এটি তৃণমূলের বড় অস্ত্র হতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।

Advertisement

বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার এত বড় সুযোগ তাঁরা হাতছাড়া করতে চাইছে না। জেলার দলীয় কর্মীদের ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জনসংযোগ যাত্রার পাশাপাশি এই ভিডিয়োটি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। আগামী ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রচারে সময় এই ভিডিয়ো নিয়ে প্রচারে সক্রিয় হতে হবে। সোস্যাল মিডিয়াতেও ভিডিয়োটি আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিয়ে বিজেপির নিন্দা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কথায়, “ওই ভিডিয়োর ফলে বিজেপির হিন্দুত্বের মুখোশ খুলে গিয়েছে। ওঁদের নেতাই বলেছেন, কিছু হিন্দু মারা গেলে ওঁদের কিছু যায় আসে না। বিজেপির এই রূপ আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরব।”

দিলীপ ঘোষের ভিডিয়োতে দল যে বেকায়দায় পড়েছে তা মোক্ষম টের পাচ্ছেন নদিয়ার বিজেপি নেতারা। কিন্তু কী ভাবে এই সঙ্কট সামলাবেন এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপির। চোখে পড়ার মতো ভাল ফলও হয়েছে। ছিনিয়ে নিতে পেরেছে রানাঘাট। কৃষ্ণনগরেও তারা তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়ে হেরেছে। ভোটের পরে ক্রমশ জেলায় শক্তি বাড়ছিল বিজেপির। এই রকম একটা সুবিধাজনক অবস্থান থেকে দিলীপ ঘোষের ভিডিয়ো এক ধাক্কায় দলকে অনেকটা নড়বড়ে করে ফেলেছে বলে অনেক বিজেপি নেতাই মনে করছেন। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, “মানুষ এতে গুরুত্ব দেবেন না। কারণ, তাঁরা ভাল করেই বুঝেছে ভিডিয়োটি নিয়ে মিথ্যে ও নোংড়া রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল।” তাঁর আরও বক্তব্য, “মানুষ বুঝেছে যে, দিলীপদা যদি এটা বলেও থাকেন তা হলে অভিমান থেকে বলেছেন। এটা কখনই তাঁর মনের কথা নয়।” আনন্দবাজার পত্রিকা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে এই ভিডিয়োতে ঘরোয়া পোশাকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দিলীপবাবুকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কৃষ্ণনগরে হার প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘...কৃষ্ণনগরের লোকের প্রতি কোনও মায়া নেই। ওরা জুলুবাবুকে হারিয়েছে। আবার কল্যাণকে হারাল....।’’ আরও বলতে দেখা গিয়েছে, ‘‘আপনি কেন কষ্ট পাচ্ছেন? নির্মম হোন। হিন্দু অনেক মরেছে। আরও কিছু মরুক।’’ যদিও বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার এখনও দাবি করছেন, “এটা

Advertisement

ভুয়ো ভিডিয়ো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন