প্রতীকী ছবি।
প্রথম বছরেই নজর কেড়েছিল রানাঘাটের দুর্গাপুজো কার্নিভাল। এ বারও আগ্রহ তুঙ্গে। তবে জাঁকজমকের মাঝে নিরাপত্তায় যাতে খামতি না থাকে, সে জন্য আকাশ পথে ড্রোনের নজরদারির ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এবার রানাঘাট পুরসভা পরিচালিত ‘দুর্গা কার্নিভাল’ দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। আগামী ২১ অক্টোবর, রবিবার সেই কার্নিভাল হওয়ার কথা। ওই দিন বিকেল ৪ টে থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। রানাঘাট কলেজের মাঠ থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে হ্যাপি ক্লাব মাঠের কাছে চূর্ণী নদীর ঘাটে গিয়ে তা শেষ হবে। শহরের ভাঙরাপাড়া-সিদ্ধান্তপাড়া দুর্গাপুজো কমিটি, শীতলাতলা নবারুণ সমিতি, রানাঘাট ভারতী সঙ্ঘ, ৪-এর পল্লি স্পোর্টস অ্যান্ড কালচার অ্যাসোসিয়েশন, অগ্রণী দুর্গোৎসব কমিটি, রানাঘাট কোর্ট পাড়া ইয়ংস ক্লাব, রানাঘাট ব্রতী সঙ্ঘ, শ্রীরামকৃষ্ণ পদার্পণ স্মারক সমিতি, বসুপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবং তালপুকুরপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটি কার্নিভালে যোগ দেবে।
গত বছর নজর কাড়ার পর এ বারও কার্নিভালে ভিড় উপচে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রশাসনের কাছে বড় মাথাব্যথা হতে পারে। এ জন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছে ড্রোনের। যাতে কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
কার্নিভালের জন্য কয়েকটি নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রায় তিনটি বিষয় রাখা বাধ্যতামূলক। সরকারের যে কোনও একটি প্রকল্প, জেলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিষয় এবং প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে প্রচার সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরতে হবে। দক্ষিণপাড়া, ছোট বাজার মোড় এবং ব্রজবল্লভতলায় বিচারকরা থাকবেন। প্রতিটি পুজো কমিটি সর্বাধিক পাঁচ মিনিট করে তাদের পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে।
সফল পুজো উদ্যোক্তাদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩৫ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার এবং স্মারক দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সেরা প্রাতিমা, সেরা ট্যাবলো, শৃঙ্খলা এবং পারফরম্যান্স— এই চারটি বিষয়ে পৃথক ভাবে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
রানাঘাটের পুরপ্রধান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত বারের সাফল্যের পর এ বার কার্নিভালকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো যাবে না, আতস বাজি পোড়ানো যাবে না, মত্ত অবস্থায় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না।” এ ধরনের কার্নিভালে যোগ দিতে পেরে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শহরবাসী, সকলেই খুশি। রানাঘাট ব্রতী সঙ্ঘের তরফে মিন্টু ভৌমিক বলেন, “গতবার থেকেই বিষয়টিকে খুব ভাল ভাবে গ্রহণ করেছিলাম। মানুষকে আনন্দ দিয়ে ভাল লেগেছে।’’