—প্রতীকী ছবি
ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনের খরচের হিসেব জমা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের এমনই নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খরচের হিসেব না দেওয়ায় রাজ্যের ৪৭ জন এ বার ভোটে লড়াই করতে পারবেন না বলে তালিকা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের পাঁচ জন। তাঁরা কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত ভোটে লড়তে পারবেন না তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। ভোটে যাঁরা লড়তে পারবেন না তাঁদের তালিকাও জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে জেলার মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। কারা এ বারে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবে না তার তালিকা নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক জন প্রার্থী লোকসভা নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। সেই খরচের হিসেব প্রার্থীও যেমন রাখেন, তেমনি নির্বাচন দফতরও তাঁদের নির্বাচনের খরচের হিসেব রাখে। আর সেই হিসেব ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে জেলায় নির্বাচন দফতরে জমা দিতে হয়।
নির্বাচনের খরচের হিসেব যে প্রার্থীরা সময় মতো দেন না তাঁরা ভোটে দাঁড়ানোর অযোগ্য তালিকায় পড়ে যান। আবার হিসেবে গরমিল হলে অযোগ্য তালিকায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪৭ জন প্রার্থী বিগত নির্বাচনগুলিতে খরচের হিসেব না দেওয়ায় তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। কত দিন পর্যন্ত ভোটে লড়াই করতে পারবে না তার একটি সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৪৭ জনের মধ্যে ১০ জনের যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভার রঞ্জিত দাস, জটাশঙ্কর থানদার, কান্দির সুজয় মণ্ডল, ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর, নওদার খুর্শিদ আলম মালিথা ভোটে লড়াইয়ের অযোগ্য তালিকায় রয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁরা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে।
এ বছর যাতে প্রার্থীরা নির্বাচনের খরচ সময় মতো জমা দেন সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের ডেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়েও নির্বাচনী খরচের হিসেব দেওয়ার বিষয়টি জানানো হচ্ছে। রেট চার্ট-সহ প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে জন্য দু’জন পর্যবেক্ষক এসেছেন। তাঁরা প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী খরচের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন। তাঁরা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।