কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের প্রচার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জে। ছবি: সন্দীপ পাল
মঞ্চে জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কালীগঞ্জের কামারী হাইস্কুল মাঠে তৃণমূলের জনসভায় বৃহস্পতিবার শুরুর দিকে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। বরং প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই হেলিপ্যাডের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এলাকার মানুষকে। বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার মাটি ছুঁতেই সভামুখী হল সেই ভিড়।
মঞ্চে ছিলেন প্রায় আধঘণ্টা। তার মধ্যেই এক দিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন, তেমনই তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে উদ্ধৃত করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে। এ দিন অভিষেক বলেন, ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, তুমি আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তুমি আমাকে ৪২ এ ৪২ দাও, আগামী দিনে তোমাকে আমি নতুন প্রগতিশীল, শান্তিপ্রিয়, গণতান্ত্রিক, ভারত দেব।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যুব তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ, মোদী সরকার মুখে ‘অচ্ছে দিনে’র কথা বললেও আদতে দেশকে ধর্মের নামে ভাগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সেনার নামে, ধর্মের নামে ভোট চাইছেন।’’ নোটবন্দি বা জিএসটি দেশবাসীকে ‘অচ্ছে দিন’ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলেই তাঁর দাবি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও এনডিএ সরকারকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, ‘‘মোদী সরকার কেন হঠাৎ ভোটের তিন মাস আগে পেট্রল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম কমাল? কারণ ওরা বুঝতে পেরেছে, মানুষ ওই মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেবেন না।’’
তৃণমূলের কাজের খতিয়ান তুলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়ে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি এ দিন চৌকিদার প্রসঙ্গেও মোদীকে কটাক্ষ করেন অভিষেক।