Murshidabad Death

মুর্শিদাবাদে বাড়ি ভাঙার সময় ছাদ চাপা পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের, মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে উদ্ধার

রবিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার মাঝপাড়ায় একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। আচমকা সেই বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে। নীচে চাপা পড়ে যান এক নির্মাণশ্রমিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৪৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পুরনো বাড়ির কাজ করার সময় ছাদ চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক নির্মাণশ্রমিকের। ওই বাড়িটি ভাঙার কাজ চলছিল। আচমকা ছাদ ধসে পড়ে। নীচেই ছিলেন ওই শ্রমিক। তিনি ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যান। ছাদ ভাঙার প্রবল শব্দে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা যায়নি। শেষমেশ মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রবিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার মাঝপাড়ায় একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। মমিন শেখ নামের ওই শ্রমিক সেখানেই কাজ করছিলেন। কাজ চলাকালীন বাড়ির ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বেলডাঙা থানার পুলিশ। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শ্রমিকের মৃতদেহ নিয়ে তারা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

মৃতের সহকর্মী রকিবুল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা উপরে ভাঙার কাজ করছিলাম। মমিন নীচে ছিল। পিলার ভাঙার কাজ করছিল। হঠাৎই ছাদ ধসে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ওকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।’’

উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির কারণে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। টানা বৃষ্টিতে শনিবার বাঁকুড়ায় মাটির দেওয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। রবিবার ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধাও একই ভাবে মারা গিয়েছেন বাঁকুড়ায়। বীরভূমে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ঝাড়গ্রামে একই ভাবে মারা গিয়েছেন আর এক বৃদ্ধ। বাঁকুড়ার মৃত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁরা কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা পাননি। তাই মাটির বাড়িতে থাকতে হয়েছে। বর্ষায় যা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন