Bangladesh

প্রেমিকার ‘আবদারে’ স্ত্রীকে ফেলে বাংলাদেশে মুর্শিদাবাদের যুবক, ‘গুপ্তচর’ সন্দেহে হেনস্থা স্থানীয়দের!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সোহেল আলি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা তিনি। কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন। সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের রংপুরের সুমনা নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৬
Share:

সোহেল আলি। — নিজস্ব চিত্র।

স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক যুবক। বৈধ পরিচয়পত্র নিয়েই। তাঁর অভিযোগ, সেখানে গুপ্তচর সন্দেহে তাঁকে হেনস্থা করেন স্থানীয়েরা। তার পরে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশি সেনার হাতে। শেষ পর্যন্ত আবার ভারতে ফিরে এসেছেন ওই যুবক। তবে মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে না-ফিরে তিনি সোজা চলে গিয়েছেন কেরলে। সেখানেই শ্রমিকের কাজ করেন ওই যুবক। তাঁর এই আচরণে ‘বিরক্ত’ পরিবার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সোহেল আলি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা তিনি। কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন। সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের রংপুরের সুমনা নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সোহেল জানিয়েছেন, সুমনার ‘আবদারে’ বৈধ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সুমনার কাছে যাওয়ার পরে হেনস্থার শিকার হন তিনি। ‘গুপ্তচর’ সন্দেহে মারধর করেন সেখানকার বাসিন্দারা। সোহেলের আরও অভিযোগ, কয়েক জন তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদাও চেয়েছিলেন। সেটা দিতে না-পারায় মারধর করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৫০০ টাকা। সোহেলের অভিযোগ, সেই টাকাও ছিনিয়ে নেন স্থানীয়েরা।

সোহেল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সুমনার সঙ্গে সমাজমাধ্যমে আমার আলাপ হয়। তার সূত্র ধরে আরও ২০ জনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাঁরা সমাজমাধ্যমে লাইভ করতেন এবং নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করে গল্পগুজব করতেন। এই ভাবে তাঁরা মাসে ১০-১২ হাজার টাকা রোজগার করতেন।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, সুমনার আবদারেই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন।

Advertisement

সোহেল জানিয়েছেন, মারধরের পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। তাঁর নথিপত্র এবং মোবাইল পরীক্ষা করেন জওয়ানেরা। এর পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। ভারতে ফিরে বাড়িতে না-গিয়ে সোজা কেরলে কাজের জায়গায় চলে যান তিনি। তাঁর বাবা মর্জেম আলি বলেন, “বার বার নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। এ সব পথে যাস না। কিন্তু শোনেনি ছেলে। বাংলাদেশের ওই মেয়েই নাকি সব, এ কথা জানিয়ে চলে গেল। এখন শুনছি ওই মেয়েও বিবাহিতা। সেখানে পৌঁছোতেই ওখানকার লোক গুপ্তচর ভেবে মারধর করে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement