দীপক ও মিতা দেবনাথ।
রাতে ঘর থেকে গুরুতর জখম স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। খোঁজ ছিল না স্বামীর। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশের বাগানে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম দীপক দেবনাথ (২৬)। গুরুতর জখম অবস্থায় মিতা দেবনাথকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। পারিবারিক অশান্তিতেই স্ত্রীকে কুপিয়ে ওই যুবক আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিপুর থানার চাদরার বাসিন্দা দীপকের সঙ্গে বছর সাতেক আগে মিতার বিয়ে হয়। তাঁদের একটি পাঁচ বছরের ছেলেও আছে। দীপক ভিন্রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। কিছু দিন আগে মিতা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন। এর পর তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। মাস তিনেক আগেই তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরেছিলেন। তবে বধূ নির্যাতনের মামলা তোলেননি। দীপকও মাস তিনেক আগে ভিন্রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরেন।
প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, দু’জনে ফের একসঙ্গে থাকলেও প্রায়শই বিবাদ হত। মঙ্গলবার রাতে দীপকের মা নাতিকে নিয়ে পাড়ায় একটি কীর্তনের আসরে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তবে দীপকের খোঁজ মেলেনি। পরে বুধবার সকালে বাড়ির পাশের বাগানে দীপকের ঝুলন্ত দেহ মেলে।
দীপকের দিদি মিতু দেবনাথ বলেন, “ভাইয়ের সঙ্গে ওর স্ত্রীয়ের প্রায়ই ঝগড়া হত। এর আগে এক বার বধূ নির্যাতনের মামলা করে বাপের বাড়ি চলে যায় মিতা। তিন মাস আগে ফিরেও আসে। এর পরও ওদের মধ্যে ঝামেলা হত। কিন্তু ভাই যে এরকম একটা কাজ করে ফেলবে, ভাবিনি!”
মিতার অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। দীপকের দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।