Mystery Death in Kaliganj

মাথা থেঁতলে পাটক্ষেতে পড়ে নদিয়ার যুবক, স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করল পরিবার

বুধবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন কৃষকেরা। সেই সময় রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কাছে গিয়ে দেখা যায়, যুবক তাঁদের পরিচিত। খবর যায় পরিবারের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কাজে বেরিয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল পাটক্ষেতে। বুধবার এই ঘটনায় শোরগোল নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ করেছে খুনের। আঙুল উঠেছে মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

মৃতের নাম সুনীল রাজোয়ার। তিনি কালীগঞ্জের ফরিদপুর পঞ্চায়েত এলাকার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুনীলকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাবেন বলে স্থির করেছেন স্ত্রী পুতুল রাজোয়ার। বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন তিনি। মামলা চলছিল। তার মধ্যেই বুধবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পাটের জমি থেকে উদ্ধার হয় পুতুলের স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে যুবককে। আর ওই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন পুতুলের প্রেমিক।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন কৃষকেরা। সেই সময় রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কাছে গিয়ে দেখা যায়, যুবক তাঁদের পরিচিত। খবর যায় পরিবারের কাছে। পরিবারের সদস্যেরা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। খবর যায় পুলিশের কাছে। পরিবার দাবি করে সুনীলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যোগ রয়েছে। ওই দম্পতির দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছিল। পরিবার সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মহাজনের বাড়ি থেকে টাকা আনতে গিয়েছিলেন সুনীল। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। এদিক-ওদিক খোঁজখবর নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোথাও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

সকালে পাটক্ষেতের কাছে সুনীলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পরেইখুনের অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির দাদা অজয় রাজোয়ার বলেন, “স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা ছিল। একটি ছেলের সঙ্গে চলে যায় ভাইয়ের বৌ। গতকালও (মঙ্গলবার) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হল। রাতে ফোনে বলল, ‘কাজে বেরিয়েছি।’ কিন্তু রাত বাড়লেও ও আর ফেরেনি। ফোন করি। কিন্তু ওর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ দেখলাম মার্ডার হয়ে গিয়েছে। ওকে খুন করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। আমাদের সন্দেহ, ভাইয়ের স্ত্রীর প্রেমিক এই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।”

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ মত্তাকিনুর রহমান বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement