পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই কান্দি পুরসভায় অচলাবস্থা চলছিল। শুক্রবার সেই অচলাবস্থা কাটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করলেন মহকুমাশাসক। এ দিন কান্দির মহকুমাশাসক বিজিন কৃষ্ণ সমস্যা সমাধানে একটি ‘মনিটরিং কমিটি’ গড়ে দিয়েছেন। ওই কমিটি বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত সুপারিশ করবে।
মাসখানেক আগে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা কাজ বন্ধ করে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেন। টানা তিন দিনের ওই ধর্মঘটে শহরের রাস্তায় আবর্জনা জমে যায়। মহকুমাশাসক বৈঠক ডেকে তরিঘড়ি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট ওঠে। অস্থায়ী কর্মীরা সাফাইয়ের কাজ শুরু করেন। কিন্তু এর আগে রাজনৈতিক দলগুলির পূর্ণাঙ্গ উপস্থিতি না থাকার কারণে দু’বার বৈঠক ভেস্তে যায়।
এ দিন শেষমেশ বৈঠক সম্পন্ন হল। এ দিন উপ-পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায়, কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার, প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর তৃণমূলের গৌতম রায় –সহ একাধিক কাউন্সিলর ও পুরসভায় অস্থায়ী কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিকে সবপক্ষই সমর্থন করে।
বৈঠক শেষে উপ-পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায় বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সকলেই একমত হয়েছে।’’ কাউন্সিলর তৃণমূলের গৌতম রায় বলেন, “মহকুমাশাসক ঝামেলা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’’ বৈঠকে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, অনেক পুরকর্মীই কাজ না করেই বেতন নেন। তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। তাছাড়া বেতন বৃদ্ধি করতে গেলে পুরসভার আয়ও বাড়াতে হবে। মহকুমাশাসক জানান, দশ সদস্যের ওই কমিটি ৪০ দিনের মধ্যে পুরো পক্রিয়া শেষ করবে। কমিটি বর্ধিত বেতন কী হবে, তা স্থির করবে।