Coronavirus

মিড ডে মিল মিলবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে

এরই মধ্যে নদিয়ায় দুই দফায় প্রায় ৫৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০২:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

মিড মিলের চাল, আলু পৌঁছে দিতে হবে পড়ুয়াদের কাছে। নিশ্চিত করতে হবে যাতে একশো শতাংশ পড়ুয়াই সেই চাল আলু পায়। কিন্তু একের পর এক স্কুলে খোলা হচ্ছে কোয়রান্টিন সেন্টার। যেখানে রাখা হচ্ছে মূলত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাডু ও দিল্লি ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেখান থেকে কোনও ভাবেই মিড ডে মিলের চাল, আলু বণ্টন করা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প হিসাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে।

Advertisement

এরই মধ্যে নদিয়ায় দুই দফায় প্রায় ৫৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে। আগামী দিনে আরও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরবে বলে অনুমান করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। প্রথম দিকে এঁদের বাড়িতে নিভৃতবাসে বা কোনও সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, বহু শ্রমিকের বাড়িতে আলাদা ঘর নেই। তখন সিদ্ধান্ত হয়, চারটি ‘করোনা হটস্পট’ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক এবং যাঁদের বাড়িতে আলাদা থাকার মতো ঘর নেই, সেই শ্রমিকদের গ্রামের স্কুলে রাখা হবে। তাঁদের খাবার, পানীয় জল আসবে বাড়ি থেকে।

এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ও হাই স্কুল মিলিয়ে জেলায় প্রায় ১২০০ স্কুলবাড়িতে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ দিকে আমপানের কারণে নদিয়া জেলায় ৮ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হবে। প্রশ্ন উঠছে, স্কুলে যদি কোয়রান্টিন সেন্টার থাকে তা হলে মিড ডে মিল কোথা থেকে দেওয়া হবে?

Advertisement

তখনই গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে বেছে নেয় প্রশাসন। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলছেন, “আমরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করছি। শিক্ষকদের বলে দেওয়া হয়েছে, একশো শতাংশ পড়ুয়ার কাছে চাল, আলু পৌঁছে দিতে হবে।” আজ বুধবার তিনি জেলার স্কুল পরিদর্শক, মিড ডে মিল প্রকল্প আধিকারিক-সহ এসআই ও এআইদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। জেলায় ১৪৭টি হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র আছে। যার মধ্যে একটা বড় সংখ্যক স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। জেলার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক মৃণালকান্তি রায় সিংহ বলেন, “সে ক্ষেত্রে আমরা কোয়রান্টিন সেন্টারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement