উন্নয়নের জন্য রাজ্য টাকা দিচ্ছে না। এক সময় কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধানদের এটাই ছিল চেনা বুলি। পরে পুরবোর্ড কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের হতেই ছবিটা বেমালুম বদলে গিয়েছে। এখন যে কোনও পুর-প্রকল্পেই টাকার অভাব হচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, উন্নয়নের টাকা আটকে কি বিরোধীদের বেকায়দায় ফেলা হয়েছিল?
রবিবার বহরমপুরে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পুরসভাকে দু’টি বাস চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘ভাগীরথীর দু’পাড়ের সৌন্দর্যায়ন ও হাইমাস্ট লাইটের জন্য জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভাকে প্রায় দু’কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বেলডাঙা পুরসভার ৪০ শতাংশ টাকা রিলিজ করা হয়েছে। বহরমপুর পুরসভা তিনটে প্রকল্পের জন্য ৬ কোটি ৭৯ লক্ষ পেয়েছে।’’
এ দিন মন্ত্রীর এই ঢালাও অর্থ বরাদ্দের ঘোষণায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শাসকদলে যোগ দেওয়াপ কারণেই কি ওই পুরসভাগুলিকে ঢালাও অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে?
বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য অবশ্য এ কথা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘আগে নিয়ম মেনে প্রকল্প তৈরি করতে পারতাম না। এখন সে খামতি নেই। ফলে টাকা আসছে।’’
জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘আগে উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থ ভাগ দিতে হত অধীর চৌধুরীকে। ফলে পুরসভা প্রকল্প জমা দিত না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে মন্ত্রীরা ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ সব বাস্তবায়িত হবে না।