রাস্তা আটকে মার, মৃত যুবক

ইটভাটা থেকে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন দাদা-ভাই। বাড়ি পৌঁছনোর আগে মাঝ রাস্তাতেই খুন হয়ে গেলেন ভাই। গুরুতর জখম হয়েছেন দাদা। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ থানার মোগলপাড়ার ঘটনা। পুলিশ ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪১
Share:

চিকিৎসা: মেডিক্যালে ভর্তি নাজলে আহমেদ। নিজস্ব চিত্র

ইটভাটা থেকে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন দাদা-ভাই। বাড়ি পৌঁছনোর আগে মাঝ রাস্তাতেই খুন হয়ে গেলেন ভাই। গুরুতর জখম হয়েছেন দাদা। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ থানার মোগলপাড়ার ঘটনা। পুলিশ ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দুই ভাইয়ের রাস্তা আকটায় দুষ্কৃতীরা। কড়িকাঠ দিয়ে দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। তাতেই ঘটনাস্থলেই মারা যায় ভাই আব্দুস সিদ্দিক (৪৮)। গুরুতর জখম দাদা নাজলে আহমেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ থানার আইসি আশিস দেব বলেন, ‘‘ইটভাটার জমি সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ছয় জন অভিযুক্ত পলাতক।’’

মোগলপাড়ার বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে দু’টি ইটভাটা রয়েছে। একটির মালিক ওই গ্রামের তিওয়ারি পরিবার। অন্যটির মালিক নাজলে আহমেদরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমির একটি অংশের মালিকানা নিয়ে ওই দু’টি ইটভাটার মালিকদের মধ্যে বছর তিনেক থেকে বিবাদ চলছে। বিবাদের জেরে মাঝেমধ্যে দু’পক্ষেরই ইটভাটা বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মরশুমে তিওয়ারি পরিবারের ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলেও নাজলে আহমেদের ইটভাটা চালু রয়েছে। নাজলেরা দুই ভাই একটি মোটরবাইকে চেপে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সেই ইটভাটা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

Advertisement

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নাজলে বলেন, ‘‘পথের মধ্যে তিওয়ারিরা ৭ ৮ জন মিলে কড়িকাঠ বর্গা দিয়ে দুই ভাইকে বেদম মারে। কড়িকাঠ দিয়ে মাথায় মাথায় মারায় ভাই সেখানেই লুটিয়ে পড়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন