মোমোর ইয়ার্কি বন্ধ হোক

রাত প্রায় ২টো। বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আড্ডা সেরে সবে শুতে গিয়েছেন বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ— ‘হাই আই অ্যাম মোমো’। অচেনা নম্বর। ‘ডিসপ্লে পিকচার’-এ মোমোর চেনা ছবি।     

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৩০
Share:

রাত প্রায় ২টো। বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আড্ডা সেরে সবে শুতে গিয়েছেন বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ— ‘হাই আই অ্যাম মোমো’। অচেনা নম্বর। ‘ডিসপ্লে পিকচার’-এ মোমোর চেনা ছবি।

Advertisement

পরে জানা গেল, এক জন নন। শনিবার মাঝরাত থেকে টেক্সাসের একটি নম্বর থেকে নবদ্বীপের বেশ কিছু ছাত্রীর মোবাইলে এসেছে ওই মেসেজ। বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। রবিবার সকাল হতেই মুখে-মুখে ছড়িয়েছে খবর। অভিভাবকদের সঙ্গে নবদ্বীপ থানায় এসে হাজির হয়েছেন ছাত্রীরা।

পোড়াঘাটের বাসিন্দা, ডেটা সায়েন্সে নিয়ে বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী উৎপর্ণা ঘোষের মোবাইলে মেসেজ এসেছিল রাত ২.০১ মিনিটে। একই মেসেজ পেয়েছেন বি-টেক প্রথম বর্ষের ছাত্রী সায়ন্তিকা মৈত্রও। দু’জনেই কলকাতায় থেকে পড়াশুনা করেন। সাপ্তাহান্তিক ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। শনিবার বিকেলেই আবার নিউইয়র্কের একটি নম্বর থেকে মেসেজ পেয়েছিলেন তরুণ তবলাশিল্পী বলরাম খাঁ।

Advertisement

এই নিয়ে হইচই শুরু হতেই ছাত্রীদের পরিচিত এক বন্ধু তাদের মেসেজ এবং ফোন করে জানান, ভয়ের কিছু নেই। তিনিই মজা করে মেসেজটি পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে কাউকে কিছু না বলতেও অনুরোধ করেন তিনি। বন্ধুটিও কলকাতায় পড়াশুনো করছেন। তাঁর ফোন পেয়ে ওই সব ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও দুশ্চিন্তা কাটেনি।

এক ছাত্রীর অভিভাবক উৎপল ঘোষ বলেন, “মেয়ে বাইরে থেকে পড়াশোনা করে। কখন কোন বিপদে পড়বে, সেই চিন্তায় থাকি। এর পর এই সব উৎপাত। কিসের ভরসায় মেয়েকে বাড়ির বাইরে ছাড়ি বলুন তো!” তাঁদের আর্জি, মজা করে এই ধরনের মেসেজ পাঠানো বন্ধ হোক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন