Farmer

চাষি পেনশনে বাড়ছে নাম, টাকার পরিমাণও

শেষ বার তালিকা তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই সময়ে রাজ্যের প্রায় ৬৬ হাজার চাষিকে পেনশনের আওতায় আনা হয়েছিল। এ বার রাজ্য কৃষি দফতর এক লক্ষ চাষিকে এই প্রকল্পের অধীনে এনেছে। আগামী ১২ অক্টোবর, শুক্রবার পর্যন্ত এই প্রকল্পে চাষিদের নাম তোলার দিন ধার্য হয়েছে।

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

শেষ বার তালিকা তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই সময়ে রাজ্যের প্রায় ৬৬ হাজার চাষিকে পেনশনের আওতায় আনা হয়েছিল। এ বার রাজ্য কৃষি দফতর এক লক্ষ চাষিকে এই প্রকল্পের অধীনে এনেছে। আগামী ১২ অক্টোবর, শুক্রবার পর্যন্ত এই প্রকল্পে চাষিদের নাম তোলার দিন ধার্য হয়েছে।

Advertisement

এ রাজ্যে চাষি পরিবারের সংখ্যা প্রচুর। এত দিন পেনশন প্রাপকের তালিকা আর বাড়ানা হয়নি। এ বছর কিন্তু সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। নদিয়ায় আগে ২১৬০ জন চাষি পেনশন পেতেন। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৩৮১০। অর্থাৎ এক ধাক্কায় জেলার ১৬৫০ জন চাষিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।

শুধু প্রাপকের সংখ্যাই বাড়ায়নি রাজ্য সরকার। বেড়েছে পেনশনের অঙ্কও। এত দিন চাষিরা মাসে ৭৫০ টাকা করে পেতেন, মারা গেলে তাঁদের স্ত্রী-রা পেতেন সমপরিমাণ টাকা। এ বার থেকে চাষিরা মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। কিন্তু সামনে লোকসভা ভোট থাকায় এর পিছনে রাজনীতির অঙিক রয়েছে কি না, সেই তরজাও শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ রাজ্যে বহু বছর ধরেই চাষিদের পেনশন দেওয়া হয়। বয়স ৬০ বছর পার হলে মেলে পেনশন। ভূমিহীন খেতমজুর, বর্গাদার, পাট্টাদার, জমির মালিক যে কেউ এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এমন চাষিদের ক্ষেত্রে বয়সটা ৫৫ বছর হলেই চলে।

কৃষি দফতরের জেলা স্তরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, মূলত খেতমজুরদের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। খেতমজুরেরা বৃদ্ধ বয়সে আর কাজ করতে পারেন না। তাঁদের আয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সেই কারণে এই প্রকল্পে ভূমিহীন খেতমজুরদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পেনশনধারী চাষি মারা গেলে তাঁর স্ত্রী হাতে পান সেই পেনশন। জেলার বেশ কিছু মহিলা সরকারি খাতায় ‘চাষি’ বলে নথিভুক্ত। তাঁরাও এই পেনশন পেতে পারেন। তবে পরিবারের এক জনই পেনশনের সুবিধা পান।

কেন এত দিন বাদে হঠাৎ পেনশন প্রাপকের সংখ্যা আর টাকার অঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার?

জেলা কৃষক সভার সম্পাদক মেঘলাল শেখের টিপ্পনী, ‘‘সামনে লোকসভা ভোট। ভোটের স্বার্থে অনেক কিছুই করছে। এটা তেমনই একটা ঘোষণা।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের পাল্টা দাবি, ‘‘আগের সরকার কেন বৃহত্তর প্রেক্ষিতে এটা করেনি। ওরা নিজেরা পেনশনের টাকা পকেটে পুরেছিল। আমরা ভাল কিছু করতে গেলেই রাজনীতির কথা বলা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন