Arrest

মামির সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্ক স্বামীর! হোয়াটসঅ্যাপ দেখে নিজেকে শেষ করলেন বধূ, ধৃত শাশুড়ি

নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ার চাঁপাতলা সরকারপাড়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সোনালি মজুমদার। বধূর বাপের বাড়ির দাবি, মেয়েকে খুন করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:১০
Share:

অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

বেশ কিছু দিন ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল। আড়িও পাতছিলেন স্বামীর ফোনে। কিন্তু কোনও ভাবেই রহস্যভেদ করতে পারছিলেন না বধূ। শেষমেশ সুযোগ এল। হোয়াটসঅ্যাপ খুলতেই পর্দাফাঁস! স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তার প্রতিবাদ করায় টানাপড়েন চলছিল দম্পতির মধ্যে। তার মধ্যেই বধূর রহস্যমৃত্যু!

Advertisement

নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ার চাঁপাতলা সরকারপাড়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সোনালি মজুমদার। বধূর বাপের বাড়ির দাবি, মেয়েকে খুন করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হয়। ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস পাঁচেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা সোনালির সঙ্গে ফুলিয়ার তরুণ মজুমদারের বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সেটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সোনালির বাপের বাড়ির দাবি, শুরু থেকেই তরুণের সঙ্গে তাঁর নিজের মামির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি শুরুতেই আঁচ করেন বধূ। পরে সেই সন্দেহ সত্যিও হয়। তরুণের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ থেকে সব জেনেছিলেন সোনালি। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে স্বামী জুতোপেটা করতেন বলেও দাবি করেছেন মৃতার বাবা বিশ্বনাথ কর্মকার। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে প্রায়ই ফোন করে বলত, ‘আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচব না।’ এই বলেই ফোন কেটে দিত। তা-ই সত্যি হল। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানাল, আমার মেয়ে আর নেই!’’

Advertisement

বিশ্বনাথ পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই তাঁরা শান্তিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তরুণ পলাতক। এর পরেই তরুণ ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বধূর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন