Nadia Death Case

ফুলচুরির অপবাদ দিয়ে কান ধরিয়ে ওঠবস এবং মৃত্যু: পলাতক সিভিকের দাদার পরে গ্রেফতার হলেন বৌদি

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সিভিক-সহ তাঁর পরিবারের তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলার মৃত্যুর পরের দিনই ‘ক্লোজ়’ করে দেওয়া হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার মিলন করাতিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৭
Share:

(বাঁ দিকে) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারে বৌদি। — নিজস্ব চিত্র।

ফুলচুরির অপবাদ দিয়ে মহিলাকে হেনস্থা এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক প্রতিবেশী। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাকে। এ বার তাঁর বৌদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ‘ক্লোজ়’ হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

গত শনিবার সরস্বতী দে নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর এলাকায়। ওই মহিলা একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতেন। তাঁর মেয়ের অভিযোগ, গত শুক্রবার ভোরে তাঁর মা মিলন করাতি নামে প্রতিবেশীর বাড়ির বাগানে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ার মিলন তাঁর মাকে হেনস্থা করেন। চোর অপবাদ দিয়ে লাঞ্ছনা করেন। কান ধরিয়ে ওঠবস করানো হয়েছিল। এমনকি, তাঁর মায়ের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সকলের সামনে আবার তাঁকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। মেয়ে দাবূ করেন, সকলের সামনে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর মা।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সিভিক-সহ পরিবারের তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলার মৃত্যুর পরের দিনই ‘ক্লোজ়’ করে দেওয়া হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার মিলনকে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দাদা অসীম করাতিকে। এ বার সিভিকের বৌদি অর্থাৎ, অসীমের স্ত্রী কাজল করাতিকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্ত ওই সিভিক। তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। যদিও ‘ক্লোজ়’ হওয়া সিভিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

অন্য দিকে, পুলিশের কাছে মিলন নাকি আগে দাবি করেছিলেন তিনি ওই ঘটনার সময়ে উপস্থিতই ছিলেন না। হেনস্থার অভিযোগও নস্যাৎ করে দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ফুলচুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া সরস্বতীকে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে কান ধরিয়ে ওঠবস করিয়েছিলেন পাড়ার লোকজন। সিভিকের আরও দাবি, মহিলার আত্মহত্যার সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনও যোগ নেই। তবে তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করার পর থেকে এলাকায় আর দেখা যায়নি মিলনকে। পুলিশের তাঁর খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement