শিশুর মৃত্যুতে গাফিলতির নালিশ ডাক্তারের বিরুদ্ধে

চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। জেলা সদর হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০১:৩১
Share:

চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। জেলা সদর হাসপাতালের ঘটনা। ওই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

হাসপাতাল ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেকের রকিব শেখ নামে ওই শিশুটি চাপড়ার কলিঙ্গ গ্রামের বাসিন্দা। বাবা মুস্তাকিন শেখ দিনমজুর। দিন দু’য়েক ধরে শিশুটি জ্বরে ভুগছিল। ৪ জুলাই বিকেলে তাকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পিকে পালের অধীনে ভর্তি করানো হয়। পরদিন বিকেলে ওই চিকিৎসক শিশুটিকে ছুটি দিয়ে দেন। রাতে শিশুটি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় খিচুনি। পরদিন সকালে ফের তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর খানিকক্ষণের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়।

শিশুটির পরিবারের লোকজন চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তারপরই মৃত্যুর কারণ জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। শুক্রবার শিশুটির পরিবারের তরফে হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তাঁদের অভিযোগ, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ওই চিকিৎসক শিশুটিকে ছুটি দেন। ফলে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক পিকে পালের গাফিলতির কারণেই শিশু-মৃত্যু হল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুন। যাতে ভবিষ্যতে ওই চিকিৎসক এমন গাফিলতি দেখাতে সাহস না পান। অভিযুক্ত চিকিৎসক পিকে পাল অবশ্য বলেন, ‘‘আমি ছুটিতে রয়েছি। গোটা বিষয়টা আর একবার ভাল করে না জেনে কিছু বলতে পারছি না।’’

Advertisement

যদিও হাসপাতালের সুপার সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছি। শিশুটি জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টেও তেমন কিছু ধরা পড়েনি। সেই কারনেই হয়ত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে ছুটি দিয়েছিল।’’ তাহলে কী করে শিশুটি বাড়ি ফিরতেই আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ল?
সুদীপবাবু জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে শিশুটির দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন