Corona

দুবাই ফেরত যুবক, মিলল নতুন স্ট্রেন

আক্রান্তের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে আসার পর ওই যুবকের কোনও রকম অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়নি।

Advertisement

অমিতাভ বিশ্বাস

করিমপুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ০৫:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুবাই থেকে আসা এক যুবকের শরীরে করোনার নয়া বিদেশি স্ট্রেন পাওয়া গেল। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের নাটনা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। রিপোর্ট আসার পর সোমবার গভীর রাতে তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই যুবক পাশের বাড়ির একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সুপার মনীষা মন্ডল জানান, ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের ১৭২ জনের গলা ও নাকের সোয়াব বা রসের স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়াও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নাটনা পশ্চিম পাড়ায় ৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।প্রত্যেককে জানানো হয়েছে যে, রিপোর্ট যতদিন না আসা পর্যন্ত তাঁরা যেন আইসোলেশনে থাকেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল, যুবকের দেহে করোনার স্ট্রেন থাকা সত্ত্বেও কী করে তিনি সোজা বাড়ি চলে এলেন?

Advertisement

নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বের হবার আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে যাত্রীদের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে যে, নাটনা গ্রামের যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দ্রুত সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

লালারস সংগ্রহের পর রিপোর্ট আসার আগেই কেন ওই যুবক-সহ বাকি যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হল? কেন রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাঁদের নিভৃতাবাসে রাখা হল না?

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, গত রবিবার পর্যন্ত লালারস সংগ্রহের পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল। যেহেতু এখন কোথাও কোনও আইসোলেশন সেন্টার বা নিভৃতবাস কেন্দ্র নেই ফলে বাড়়িতেই রিপোর্ট আলা পর্যন্ত একটা ঘরে আলাদা থাকতে বলা হচ্ছিল। তবে সোমবার থেকে নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে। এখন লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরেই একটি জায়গায় রাখা হচ্ছে।

করিমপুর ১ এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনা জানার পর পরই যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে অনুরোধ করা হয়েছে তাঁরা যেন তাঁদের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাড়িতেই থাকেন।”

আক্রান্তের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে আসার পর ওই যুবকের কোনও রকম অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়নি। তাঁর বাবা জানান, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফোন আসে। জানানো হয়, ছেলের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তার পর স্বাস্থ্য দফতরের লোক এসে তাঁর ছেলেকে নিয়ে যান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তিনি দাবি করেন, দুবাই বিমানবন্দরেও তাঁর ছেলের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। তার পর তাঁকে বিমানে উঠতে
দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন