চাকদহ ভেঙে নয়া ব্লক কল্যাণী

কল্যাণী ব্লকের অফিস হবে মদনপুর ১ পঞ্চায়েতের জঙ্গলগ্রামে। হরিণঘাটার হিংনাড়া এবং দেউলি পঞ্চায়েত চাকদহ ব্লকে থাকায় খুশি দুই এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৪
Share:

শেষ পর্যন্ত ভেঙেই ফেলা হচ্ছে চাকদহ ব্লক। নদিয়ার নতুন ব্লক হচ্ছে কল্যাণী। এতদিন চাকদহ ছিল রাজ্যের অন্যতম বড় ব্লক। কল্যাণীর প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নানান কাজে ছুটতে হত চাকদহে। দীর্ঘদিন দাবি ছিল কল্যাণীকে পৃথক জেলা করা হোক। সেই দাবি মেনেই ব্লক ভাগের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য।

Advertisement

কল্যাণী ব্লকের অফিস হবে মদনপুর ১ পঞ্চায়েতের জঙ্গলগ্রামে। হরিণঘাটার হিংনাড়া এবং দেউলি পঞ্চায়েত চাকদহ ব্লকে থাকায় খুশি দুই এলাকার বাসিন্দারা। চাকদহে বিডিও নিশীথভাস্কর পাল বলেন, “চাকদহ ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি নিয়ে চাকদহ ও বাকি ৭টি নিয়ে নতুন কল্যাণী ব্লক হতে চলেছে।’’ বছর দু’য়েক আগে চাকদহের প্রগতি সংঘের মাঠে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তখনই তাঁকে চাকদহ ব্লক ভাগের দাবি জানিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। সুব্রতবাবু তখনই এই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ বলেন, “চাকদহ অনেক বড় ব্লক ছিল। ব্লক ভাগ হওয়ায় এলাকার মানুষের উপকার হবে।” একই কথা শুনিয়ে কল্যাণীর বিধায়ক রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ব্লক ভাগ করার দাবি জানিয়েছিলাম। সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।” প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, চান্দুরিয়া ১, শিলিন্দা ১, শিলিন্দা ২, হিংনাড়া, দেউলি, দুবরা, ঘেটুগাছি, তাতলা ১, তাতলা ২ এবং রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত চাকদহ ব্লকে থাকছে। চান্দুরিয়া ২, সরাটি, মদনপুর ১, মদনপুর ২, শিমুরালি, সগুনা এবং কাঁচড়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে কল্যাণী ব্লক তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক হয়েছিল বিধনসভা ভিত্তিক ব্লক ভাগ করা হবে। সেই হিসাবে চাকদহ বিধানসভার অন্তর্গত আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে চাকদহ ব্লক এবং কল্যাণী বিধানসভার সাতটি পঞ্চায়েত নিয়ে কল্যাণী ব্লক হবে। হরিণঘাটা বিধানসভার অর্নগত হিংনাড়া এবং দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েত যাবে হরিণঘাটা ব্লকে। এ কথা জানার পর ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। দশ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত দাবিপত্র রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল। হিংনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অনুপ কুমার সরকার বলেন, “দুই গ্রাম পঞ্চায়েত হরিণঘাটা ব্লকে গেলে মানুষকে বিপদে পড়তে হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন