Indian Army

নিহত সেনাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে বাধা সাংসদকে

নিহত সুবোধ ঘোষের স্কুলের শিক্ষক সুবোধ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ‘‘শহীদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মতো একটি অনুষ্ঠানেও তৃণমূল রাজনীতি নিয়ে আসতে চেয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৫৫
Share:

আটকানো হল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। নিজস্ব চিত্র

নিহত সেনাকর্মীকে শ্রদ্ধাজানানোর মঞ্চেও সংকীর্ণ রাজনীতি টেনে আনার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই মঞ্চে যেতে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার অভিযোগ, সিপিএম করার জন্য শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি নিহত সেনাকর্মী সুবোধ ঘোষের স্কুলের সহ-প্রধানশিক্ষক সুবোধ বিশ্বাসকে। বিজেপি ও সিপিএমের বেশ কিছু নেতা কর্মীকে অনুষ্ঠানে ঢুকতে প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

রবিবার রাতে কাশ্মীরে পাক সেনার গুলিতে নিহত হন তেহট্টের যুবক সেনাকর্মী সুবোধ ঘোষ। রবিবার রাতে তাঁর মরদেহ গ্রামে আসে। শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়। গান স্যালুট ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রঘুনাথপুরে নিমতলা বিদ্যানিকেতন স্কুলের মাঠে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, তেহট্ট ও পলাশিপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও এসএম সাদি। গিয়েছিলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা নিমতলা বিদ্যানিকেতনের সহ প্রধানশিক্ষক সুবোধ বিশ্বাস। কিন্তু অভিযোগ, দেহ আসার আগেই ব্যারিকেডের মধ্যে যেতে বাধা দেওয়া হয় রানাঘাটের সংসদ জগন্নাথ সরকারকে। অনেক পরে তাঁকে অনুষ্ঠানে আা হয়।

জগন্নাথ বাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাকে ঢুকতে বাধা দেয় প্রশাসন। প্রায় কুড়ি আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। প্রশাসন এটা করেছে। ওই এলাকার সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। সেখানে উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার কোনও পদক্ষেপ করেননি। বাংলার বুকে নোংরা রাজনীতি চলছে তা আরও এক বার প্রমাণ করল শাসক দল। প্রশাসন শাসক দলের দাসে পরিণত হয়েছে।’’

Advertisement

নিহত সুবোধ ঘোষের স্কুলের শিক্ষক সুবোধ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ‘‘শহীদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মতো একটি অনুষ্ঠানেও তৃণমূল রাজনীতি নিয়ে আসতে চেয়েছে। তৃণমূল ছাড়া কাউকেই শ্রদ্ধা মঞ্চে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত অনেকেই ফুলের তোড়া বা মালা দেহ নিয়ে আসার গাড়িতে রেখে চলে যান।’’

এ বিষয়ে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত তাঁর কোনও বক্তব্য নেই বলে জানিয়েছেন। আর তেহট্ট ১ এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেছেন, ‘‘রাজনীতির কোনও বিষয় নয়, আসলে ওই অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা ছিল। সেই মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না-হয় তাই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’

পুলিশের তরফে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন