বিল ভরেছে কচুরি পানায়। —নিজস্ব চিত্র
অতিথিরা আসেনি।
মাঘের শীতেও তাদের অপেক্ষায় খাঁ খাঁ করছে সুতির আহিরণ বিল।
প্রায় ৬৫ একর বিস্তৃীত এই জলাশয়ে বছর দশেক আগেও পরিয়ায়ীর হুটোপুটি দেখতে বিকেল থেকে ভিড় করতেন দূরান্তের মানুষ।
২০০৫ সালে পরিযায়ীদের এমন ভিড় দেখে পাখিরালয় করার পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। সে আর হয়ে ওঠেনি। তবে, পরিয়াযীদের আনাগোনায় তেমন ছেদ পড়েনি।
কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাদের আনাগোনা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছিল। এ বার ভরা শীতে প্রায় সেই পোচার্ড, লেসার হুইশলিং টিল, বিন গুজ— দেখা নেই কারও। বছরভর যারা ভরিয়ে রাখত জলা, সেই ডাহুক, মুর হেন, জ্যাকনা, নিদেনপক্ষে পানকৌড়ির ঝাঁকও তেমন দেখা যাচ্ছে না।
পরিযায়ীর টানেই আহিরণ বিলে ফি বছর আসেন কলকাতার একটি হাইস্কুলের শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু পালিত। বলছেন, “অন্ততচ বিশ রকমের পাখির দেখা মেলে প্রতি বছর। প্রায় হাজার দসেক পাখি। গেল কোথায় বলুন তো?’’
বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার শিবপ্রসাদ সিংহের ব্যাখ্যা, ‘‘বৃষ্টির জমা জলেই এই জলাশয়। এ বার বৃষ্টি হল কই, তা ছাড়া আশপাশের কৃষিজমিতে কীটনাশকের প্রকোপ, পাখিরা এসে খাবে কি!’’