কংগ্রেস নেতার মেয়েকে নিগ্রহে অধরা অভিযুক্তেরা

ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। তারপরেও সাটুই-চৌরিগাছা অঞ্চলের কংগ্রেস নেতার বাড়িতে লুঠপাট ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গ্রামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা দূর, ঘটনার দু’দিন পরেও তদন্ত করতে পুলিশ বাড়িতে আসেনি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০২:০৩
Share:

ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। তারপরেও সাটুই-চৌরিগাছা অঞ্চলের কংগ্রেস নেতার বাড়িতে লুঠপাট ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গ্রামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা দূর, ঘটনার দু’দিন পরেও তদন্ত করতে পুলিশ বাড়িতে আসেনি।’’ মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকরের অবশ্য দাবি, পুলিশ গ্রামে গিয়ে তদন্ত করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সোমবার বেলাডাঙার বিধায়ক সফিউজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল আক্রান্তের বাড়ি যান। পরে তাঁরা এসপির কাছে স্মারকলিপি দেন।

Advertisement

কংগ্রেসের প্রতীকে বহরমপুর থানা এলাকার ওই গ্রামে দু’বার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেসের ওই স্থানীয় নেতা। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে চাপ আসছিল। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ছাড়তে রাজি হইনি। তার উপরে গত শনিবার বিকালে গুদামঘরের সামনে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। আমার আপত্তিতে মাঝপথে সভা ভেস্তে যায়। সেই রাগে রাত ১১টায় বাড়িতে চড়াও হয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা ও সোনা লুঠ করে।’’ সে সময় তাঁর মেয়েকে বেধড়ক মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ অস্বীকার করে মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ওই লোকটি সব সময় মদ খেয়ে থাকে। শনিবার বিকালেও সে মাতলামি করছিল। সে কারণে ওই গ্রাম থেকে চলে আসি।’’ অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাতে বাড়ি চড়াও হয়ে লুঠপাট ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে মান্নানের দাবি, অত টাকা ও সোনা ওর আছে নাকি? ও সব মিথ্যা কথা!

Advertisement

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওর মাতলামির শিক্ষা দিতে দলের লোকজন ওর বাড়ি ঢুকেছিল। ওকে মারতে গেলে ওর মেয়ে বাঁচাতে ছোটে। তখন সে আঘাত পায়। তবে আমাদের লোকজন ওর বাড়িতে ঢুকে ভুল করেছে। বাড়ির বাইরে ওকে ধরে মারা উচিত ছিল।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস নেতার আক্রান্ত মেয়ে। দুই সন্তানের মা ওই মহিলাকে শনিবার রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সোমবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন, ‘‘মান্নান মিথ্যে বলছেন। ওই রাতে বাড়িতে আমি আর আমার স্বামী ছিলাম। রাত ১১টা নাগাদ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দরজার তালা ভেঙে বাড়ির ভিতর ঢুকে লুঠপাট করে। মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণের চেষ্টা করে।’’ তাঁর পেটে, বুকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন