ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধের, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

মাসখানেক আগে পথ দুর্ঘটনায় হাত ছিঁড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোর-সহ দু’জন বাস যাত্রীর। বাসের তলায় পিষ্ট হয়েছিলেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার সাতসকালে কান্দির সেই অকুস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ট্রাক চাপা পড়ে মারা গেলেন এক বৃদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সাংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১১
Share:

চলছে স্পিড ব্রেকার তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র

মাসখানেক আগে পথ দুর্ঘটনায় হাত ছিঁড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোর-সহ দু’জন বাস যাত্রীর। বাসের তলায় পিষ্ট হয়েছিলেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার সাতসকালে কান্দির সেই অকুস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ট্রাক চাপা পড়ে মারা গেলেন এক বৃদ্ধ। এ দিন সকালে সাইকেলে কান্দিতে বাজার করতে এসেছিলেন মাধুনিয়া এলাকার অরুণ উপাধ্যায় (৬০)। ফেরার পথে কান্দি-সালার রাজ্য সড়কে মাধুনিয়ার মোড়ে ইটবোঝাই ট্রাক চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই বৃদ্ধ।

Advertisement

খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ তুলতে গেলেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বাধা দেন। দেহ আটকে তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধে আটকে হয়রান হন বহু মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রাস্তায় স্পিড ব্রেকার না থাকার কারণেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। পরে প্রশাসনের কর্তারা ছ’টি স্পিড ব্রেকার তৈরির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। এ দিন রাত পর্যন্ত তিনটি স্পিড ব্রেকার তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এলাকার লোকজনের ক্ষোভ, ঘটা করে পালিত হল পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ। গাড়ি চালকেরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছে কি না, রাস্তায় দাঁড়িয়ে সে পরীক্ষাও নিচ্ছে পুলিশ। তারপরেও পথ দুর্ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। মাস খানেক আগে কান্দিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই একটি বাস। সেখান থেকে পিছিয়ে ফের রাস্তার বাঁ দিকে যাওয়ার সময় টাল সামলাতে পারেননি জানলার পাশে বসে থাকা দু’জন যাত্রী। জানলার বাইরে হাত বেরিয়ে যায় এবং ওই ট্রাকের সঙ্গে ঘসটে গিয়ে দু’জনেরই হাত ছিঁড়ে যায়। মঙ্গলবারেও ওই এলাকাতেই ট্রাকের সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন বাইক আরোহী। তারপর ফের এ দিনের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটবোঝাই ট্রাকটি রাস্তার বাঁ দিক থেকে ডান দিকে এসে অরুণবাবুকে ধাক্কা মারে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় দাস, তাপি দাস বলেন, “খড়সা থেকে দোহালিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে কোনও বসতি নেই। ওই রাস্তায় চালকেরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়। আর সেই কারণেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।” মাধুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কংগ্রেসের তপন রাজবংশী বলেন, “টানা দু’বছর ধরে আমরা ওই রাস্তায় স্পিড ব্রেকারের দাবি জানিয়ে আসছি। এতদিন সে কথা কেউ কানে তোলেননি। এ দিকে রাস্তায় কোনও ট্রাফিকের ব্যবস্থা নেই।”

কান্দির মহকুমাশাসক অভীককুমার দাস বলেন, “সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনার হার কিছুটা হলেও বেড়েছে কান্দি মহকুমায়। কী কারণে এমনটা ঘটছে তা পুলিশকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন